মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছোট পরিসরে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ প্রধানদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলের হোদো উপদ্বীপ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়। গত মাসে পিয়ংইয়ংয়ের এক বিবৃতিতে এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যবহার হওয়া অস্ত্রকে নতুন কৌশলগত নির্দেশিত অস্ত্র হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। ভিয়েতনামে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর এই প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া। দেশটির পূর্ব উপকূলের হোদো উপদ্বীপের ওনসান শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে একাধিক ছোট পরিসরের মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ প্রধানরা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। তারা জানায়, মিসাইলটি ৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এর আগেও বড় পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণের জন্য হোদো উপদ্বীপকে ব্যবহার করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএর ভাষ্য অনুযায়ী, গত মাসে অনুষ্ঠিত এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ কিম জং উন নিজে তদারকি করেছেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিবিধ পদ্ধতিতে মিসাইল ছোড়ার বিষয়টি যাচাই করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এই অস্ত্রটি ভূ-পৃষ্ঠ, সাগর এবং আকাশ তিন মাধ্যম থেকেই উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। এই অস্ত্রটি মিসাইল ছিল কিনা তা নিয়ে এখনো সন্দেহ রয়েছে। তবে অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন যে এটি একটি ছোট পরিসরের অস্ত্র ছিল। গত বছর কিম বলেছিলেন, তারা পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে না এবং আন্ত:মহাদেশীয় ব্যলিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ বন্ধ করবে। তবে এই প্রতিশ্রুতি সত্তেও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম চলছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসেও স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে উত্তর কোরিয়ার প্রধান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জায়গায় কাজ চলার আভাস পাওয়া গেছে। উত্তর কোরিয়া দাবি করে, তারা এত ক্ষুদ্র নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করেছে যা দীর্ঘ পরিসরের মিসাইল বা ব্যালিস্টিক মিসাইলে করে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম। খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। স্বল্পপাল্লার এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি উত্তর কোরিয়া। এই পরীক্ষার খবর সত্যি হলে ২০১৭ সালের নভেম্বরে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর এটাই হবে উত্তর কোরিয়ার কোনও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দূর পাল্লা বা পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না চালানোর বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে না। ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বৈঠক কোনও চুক্তি ছাড়াই শেষ হওয়ার পর ক্রমেই অধৈর্য্য হয়ে ওঠে পিয়ংইয়ং। কিম বাজে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে বলে অভিহিত করে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।