Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সখিপুরের অধিকাংশ খাসজমি বেদখল

প্রশাসন দখলমুক্ত করল ২ দশমিক ২৩ একর জমি

সখিপুর(টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৯, ৪:২৭ পিএম

টাঙ্গাইলের সখিপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পরিত্যক্ত জেলখানা মোড়ে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার(২মে) বিকেলে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে। এ অভিযানে অবৈধ দখলদারদের ১৫টি দোকান, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্টেশন ও একটি মাইক্রোবাস স্টেশন উচ্ছেদ করা হয়। এ উচ্ছেদ অভিযানের মধ্য দিয়ে দুই একর তেইশ শতাংশ সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করল উপজেলা ভূমি প্রশাসন। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা জান্নাত তাহেরা।স্থানীয় ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা জেলখানা মোড় এলাকায় কমপক্ষে ২০ বছর ধরে সরকারি খাসজমিতে স্থানীয় লোকজন একটি বাজার বসিয়েছে এবং এ বাজারের খাজনা আদায় করে পৌরসভা কর্তৃক সখিপুর বাজার ইজারাদার। এছাড়া একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্টেশন ও আরেকটি মাইক্রোবাস টার্মিনাল গড়ে উঠে। এসব স্টেশনে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে এবং চাঁদা আদায়ের জন্য পাল্টাপাল্টি দু’টি কমিটিও রয়েছে। গত
বৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আয়শা জান্নাত তাহেরার নেতৃত্বে একদল শ্রমিক এ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় ওই স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। অভিযানে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্টেশন ও একটি মাইক্রোবাস স্টেশন উচ্ছেদ করা ছাড়াও মেছের আলীর মাংসের দোকান, মনির হোসেনের ফলের দোকান, রঞ্জিত দাস, হিরু মিয়ার চায়ের দোকান, সানোয়ার হোসেন, পারভীন আক্তার, মিস্টার মওলা, আবু সাঈদ, আমিনুর রহমানের সবজির দোকান, মোস্তফা কামালের পানের দোকান, মানিক মিয়ার টিভির দোকান, বাবুল হোসেন, আছির উদ্দিন ও খলিলুর রহমানের চায়ের দোকানসহ ১৫টি দোকানঘর উচ্ছেদ করা হয়। ফলের দোকানদার মনির হোসেন বলেন, আমি কমপক্ষে ১০ বছর ধরে এ বাজারে চাঁদা দিয়ে দোকান করছি। সরকারি সিদ্ধান্ত হলে আমাদের কি করার আছে। আমরা সরকারের কাছে আমাদের পুনর্বাসন দাবি করছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আয়শা জান্নাত তাহেরা বলেন, সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারের দুই একর ২৩ শতাংশ জমি দখলমুক্ত করা হলো। এছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাক্রোবাস স্টেশন উচ্ছেদ হওয়ায় এখন চাঁদাবাজিও বন্ধ হয়ে যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দখলকৃত খাস জমিও দখলমুক্ত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ