বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব উত্তরে দেড় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময়ে অন্তত ১৫জন আহত হয়। আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত পৌনে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের কন্টোল রুম সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এরপরও জেলার ৩টি উপজেলায় বিশেষ করে চরাঞ্চলের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে ৫৭টি. মতলব উত্তরে ৫০টি এবং হাইমচর উপজেলায় ১৬টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়।
রাজরাজেশ্বর ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, রাত পৌনে চারটার দিকে ওই ইউনিয়নের শিলারচর, খাসকান্দি, মান্দের বাজার গ্রামের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যায়। এ সময় মানুষের ঘরবাড়ি, গাছপালা উড়ে যায়। তিনি বলেন, আনুমানিক ৫০টি ঘর পুরোপুরি আর ৬টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয় ৫জন।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম জানান, গভীর রাতের ঘূর্ণিঝড়ে হাইমচর ইউনিয়নে ১৬টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ফসলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের বোরচর গ্রামের ৪টি অংশে ও মোহনপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে ফনীর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মূলসহ গাছপালা ওপরে পড়ে। এ সময় আহত হয়েছেন ১০/১২ জন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।