Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাতভর আতংক ঘূর্ণিঝড় ফনির, একটানা ঝড়ো ও দমকা হাওয়া অব্যাহত

বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৬৩ কিলোমিটার

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৯, ১০:৫৯ এএম

রাতভর আতংকে কাটিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালীর জনগণ। বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী কুয়াকাটা সহ উপকূলবর্তী নদী গুলিতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতার ঢেউ অব্যাহত রয়েছে।এ ছাড়াও গতমধ্যরাত থেকে বয়ে যাওয়া ঝড়ো দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে, ,ভোররাতের পরে কোন বৃষ্টিপাত হয়নি ,আকাশে মেঘাচ্ছন্ন অবস্থায় বিরাজ করছে।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: জহিরুল ইসলাম জানান,এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুয়াকাটা সাগর উত্তাল রয়েছে,প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস বইছে।সাগরের পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২- ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে কিনারে আছড়ে পড়ছে।

এ দিকে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,গত ২৪ ঘন্টায় পটুয়াখালীতে প্রায় ৮৩ মি: মি: বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৬৩ কিলোমিটার পার আওয়ার।গতরাত তিনটায় বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ৬৭ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয় বলে জানা গেছে।
এ দিকে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত ৩৯১ টি সাইক্লোন সেল্টার সহ আশ্রয় কেন্দ্র গুলিতে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ জন আশ্রয় গ্রহণ করেছে,এ ছাড়া ও জেলার সাড়ে তিনলাখ সাগর ,ও নদীতে জীবিকা নির্বাহীকারী জেলেকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।



 

Show all comments
  • এস আলম ৪ মে, ২০১৯, ১১:১৩ এএম says : 0
    হায়রে বাংলাদেশ। সব হুজুগে, সরকার মিডিয়া প্রশাসনকে ব্যবহার করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, সবাই তাতে নাচছে। এরকম দুর্যোগ আগেও তো হয়েছে তখন তো এত....। এনজিওগুলো মানবতার সেবা বাদ দিয়ে পেটের সেবা করে।
    Total Reply(0) Reply
  • মেহেদি মাসুদ ৪ মে, ২০১৯, ১১:১৩ এএম says : 0
    যখনই কোনো ঘুর্ণিঝড় আসে নিয়ম অনুযায়ী সেটা ভারত হয়েই বাংলাদেশে আসে। এ নিয়ে আতঙ্ক তৈরির তো কোনো মানে হয় না। ভারত হয়ে বাংলাদেশ হয়ে ঝড় তার আপন গতিতে চলে যাবে। এজন্য প্রশাসন মন্ত্রী এমপিদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের নামে বিপুল অর্থ খরচ করে সরকারি অর্থ নষ্টের তো মানে হয় না।
    Total Reply(0) Reply
  • জামিল ৪ মে, ২০১৯, ১১:১৭ এএম says : 0
    বুঝি না, প্রশাসন সাধারণ জনগণকে সাহস না দিয়ে উলটো ভয়ভীতির মধ্যে রেখেছে। সারাদেশে মোটামুটি একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। জনগণ যাতে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের জন্য আসে। আর সেই সুযোগে সরকারি বরাদ্দ লুটেপুটে নেওয়া ছাড়া আর কিছু না।
    Total Reply(0) Reply
  • মনিরুল ইসলাম ৪ মে, ২০১৯, ১১:১৮ এএম says : 0
    এই বার ঘূর্নিঝড় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি অর্থ লুটে পুটে খাওয়া। এনজিওগুলো এর পেছনে কাজ করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • নাসির ৪ মে, ২০১৯, ১১:২৩ এএম says : 0
    সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় ফণী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ