বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে ঘরচাপা পড়ে তিন জেলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একজন, বরগুনায় ২ এবং ভোলায় এক। এছাড়াও এসময় আহত হয়েছেন আরো ৩৪ জন। শনিবার (৪ মে) এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
বরগুনা জেলা সংবাদদাতা জানান, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ঘরচাপা পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়ার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- নুরজাহান বেগম (৬০) কালিয়ার খাল এলাকায় আব্দুল বারেকের স্ত্রী ও তার নাতি জাহিদুল ইসলাম (৮)।
চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহীন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ঘুর্ণিঝড়ে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় ঘরচাপা পড়ে রানী বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মে) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রানী বেগম ওই এলাকার সামসুল হকের স্ত্রী ও দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধের বাসিন্দা।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চত করেছেন।
অপরদিকে দৌলতখানের মদনপুর এলাকায় ঝড়ে ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সূর্বণচরের মেঘনা নদীর তীর সংলগ্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ঝড়ে ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা।
শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলায় এ ঝড় আঘাত হানে। নিহত ও আহতদের নামপরিচয় এখনো জানা যায়নি।
একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।