বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1720191682](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে চাঁদপুর সদর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে অর্ধশত বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, রাজরাজেশ্বরে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে যার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, রাত পৌনে চারটার দিকে ওই ইউনিয়নের শিলারচর, খাসকান্দি, মান্দের বাজার গ্রামের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যায়। এ সময় মানুষের ঘরবাড়ি, গাছপালা উড়ে যায়। তিনি বলেন, আনুমানিক ৫০টি ঘর পুরোপুরি আর ৬টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা জানান, তাঁরা মোবাইলে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম জানান, গভীর রাতের ঘূর্ণিঝড়ে হাইমচর ইউনিয়নে ১০ থেকে ১২টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ফসলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ উপজেলার প্রায় ৫ হাজার চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল থেকে চাঁদপুর সদর ইব্রাহীমপুর ও রাজরাজেস্বর ইউনিয়ন থেকে ১ হাজার, হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চল থেকে ৩ হাজার এবং মতলব উত্তর উপজেলা থেকে ১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রান কর্মকর্তা কেবিএম জাকির হোসেন জানান, চাঁদপুরের চরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এর জন্য শুক্রবার থেকে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।