Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চাঁদপুর চরাঞ্চলে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৯, ১০:০৫ এএম

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে চাঁদপুর সদর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে অর্ধশত বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, রাজরাজেশ্বরে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে যার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, রাত পৌনে চারটার দিকে ওই ইউনিয়নের শিলারচর, খাসকান্দি, মান্দের বাজার গ্রামের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যায়। এ সময় মানুষের ঘরবাড়ি, গাছপালা উড়ে যায়। তিনি বলেন, আনুমানিক ৫০টি ঘর পুরোপুরি আর ৬টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা জানান, তাঁরা মোবাইলে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম জানান, গভীর রাতের ঘূর্ণিঝড়ে হাইমচর ইউনিয়নে ১০ থেকে ১২টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ফসলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ উপজেলার প্রায় ৫ হাজার চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল থেকে চাঁদপুর সদর ইব্রাহীমপুর ও রাজরাজেস্বর ইউনিয়ন থেকে ১ হাজার, হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চল থেকে ৩ হাজার এবং মতলব উত্তর উপজেলা থেকে ১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রান কর্মকর্তা কেবিএম জাকির হোসেন জানান, চাঁদপুরের চরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এর জন্য শুক্রবার থেকে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।



 

Show all comments
  • সাদ্দাম ৪ মে, ২০১৯, ১০:৫৭ এএম says : 0
    আল্লাহ তুমি সবাইকে হেফাজত করো
    Total Reply(0) Reply
  • কামরুজ্জামান ৪ মে, ২০১৯, ১১:৩৪ এএম says : 0
    ফনী নিয়ে আসলে ব্যবসা হচ্ছে। বিষয়টিকে প্রয়োজনের তুলনায় বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • কবির হোসেন ৪ মে, ২০১৯, ১১:৩৪ এএম says : 0
    বাংলাদেশের জন্য ফনি একটি সাধারণ ঝড়। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এটাকে ফুলিয়ে প্রচার করা হচ্চে। এর উদ্দেশ্য লুটপাট করা। সরকারী মন্ত্রী, এমপি, দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ত্রাণ তহবিলের টাকা লুটপাট করা।
    Total Reply(0) Reply
  • নাজিম উদ্দিন ৪ মে, ২০১৯, ১১:৩৬ এএম says : 0
    আসুন আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই
    Total Reply(0) Reply
  • জাবেদ ৪ মে, ২০১৯, ১১:৫৫ এএম says : 0
    প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যেন সাহায্য পায়
    Total Reply(0) Reply
  • Firoz hasan ৪ মে, ২০১৯, ৫:১৩ পিএম says : 0
    যারা প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মাঝে যেন ত্রান সামগ্রী সঠিক ভাবে বিতরণ করা হয়। এটাই প্রত্যাশা করছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় ফণী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ