বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনাঞ্চলের নদ-নদীতে বাড়ছে পানির উচ্চতা। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বতাসের তীব্রতা। এতে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে গোটা উপকূলজুড়ে।
দানবীয় রূপ নিয়ে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। শুক্রবার ঝড়টি বাংলাদেশে হানা দেওয়ার কথা রয়েছে। সাগর থেকে ধেয়ে আসতে যাওয়া এ ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
মোংলা বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ সহকারী প্রকৌশলী (নৌ) নাসির উদ্দিন সকাল ১১টায় বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশুর নদীর পানি প্রায় দুই ফুট বেড়েছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে নদীতে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের হোগলা, কয়রা ইউনিয়নের গোবরা, ঘাটাখালী, হরিণখোলা, উত্তর বেদকাশীর গাজীপাড়া, বিনাপানি, গাব্বুনিয়া, দক্ষিণ বেদকাশির জোড়শিং, চোরামুখা, আংটিহারা, গোলখালী, খাশিটানা, মহেশ্বরীপুরের সরদারঘাট, পাইকগাছা উপজেলার শিবসা পাড়ের গড়ইখালী, দাকোপের বাণিশান্তা, বাজুয়া, কামারখোলা, সুতারখালী, কালাবগী, নলিয়ান, জেলেখালী, জয়নগর, গুনারী ও বটিয়াঘাটা উপজেলার শিয়ালীডাঙ্গা এলাকা।
বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা ও মোড়েলগঞ্জের কয়েকটি স্থানের বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ।
একইভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতাধীন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার জেলেখালী, দয়ারঘাট, কেয়ারগাতি, চাকলা, বিছট, কাকবসিয়া, কোলা, হাজারাখালী, ঘোলা ত্রিমোহনী, হিজলিয়া, চ-িতলা ও বুধহাটার তেঁতুলতলা, দেবহাটা উপজেলার সুশীলগাতী, চরকোমরপুর, খারাট, টাউনশ্রীপুর ও ভাতশালা এবং শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর, গাবুরা, কাশিমাড়ি, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ ও রমজাননগর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধে মারাত্মক ভাঙন দেখা দিয়েছে। যে কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে থাকা কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জাফর রানা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী আতঙ্ক থাকলেও এখনও কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে ১২৬ সদস্যের সাতটি টিম সক্রিয় রয়েছে।
এদিকে, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ বলেন, খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য বলা হচ্ছে। নৌকা, ট্রলারসহ ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেনা ও নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে খুলনার নয়টি উপজেলার সব ইউনিয়নে একটি ও প্রতি উপজেলা সদরে পাঁচটিসহ মোট ১১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, শুক্রবার খুলনার আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও বাতাসের তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে। মধ্যরাতে ফণী আঘাত হানবে খুলনায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।