বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ধীরে এগিয়ে এলেও ঘূর্ণিঝড় ফণি বেশ শক্তিশালী হয়ে গেছে। এখন তার গতি বেড়ে গেছে। ফণি শুক্রবার সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে। হতে পারে জলোচ্ছ্বাসও। ইতিমধ্যে দেশের দুই সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রা বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ফণির যতই ধ্বংসাত্মক ও ধেয়ে আসার খবর আসছে নেট দুনিয়ায় ততই বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা। আসন্ন দুর্যোগ থেকে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
জানা গেছে, ফণি বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা রাজ্যের উপকূলে আঘাত করতে পারে। তাই কিছুটা দুর্বল অবস্থায় ফণি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার দিকে আসবে। তবে যত সময় যাচ্ছে, ফণি ততই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ফলে ঘুম উধাও হয়ে গেছে উপকূলবাসীর।
ফণি’র ভয়াবহতা থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে মহান আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করে ফেসবুকে সাহাদাত হোসাইন সাগর লিখেছেন, ‘‘হে আল্লাহ্! তোমার আসমানী গজব, জমিনের গজব থেকে আমাদেরকে হেফাজত করুন। আমরা মূর্খতার কারণে অহংকার করি। আসলে অহংকার করার মতো কোনকিছু আমাদের নেই। যা আছে তা তোমার দয়ার দান।’’
মুরাদ হাসান অন্তরের মন্তব্য, ‘‘যত বিজ্ঞানি যত কেরামতি দেখাক না কেন আল্লাহ যদি চাই এই দেশে ঘুর্নিঝড় টি মারবে তাহলেই মারা উচিত আমার মতে.. কারণ এই দেশে যত না পাপ হচ্ছে সব গুলা এই ঘুর্নিঝড় দিয়ে মুছে নিয়ে যাক..। যেখানে বলা হচ্ছে আমাদের দেশের দ্বিগুন তাহলে তো বিপদ সংকেত মারাত্তক হবে। যাক এখন আর কিছু করার নাই একমাত্র আল্লাহকে ডাকা ছাড়া। আল্লাহই সব কিছু করতে পারবে।’’
‘‘আল্লাহ ব্যাতিত কেও ঝর মোকাবিলা করতে পারবে না...আল্লাহ আমদের হেফাজত করুক আমিন’’ লিখেছেন তানভীর রাহিদ।
ফেসবুক ব্যবহারকারী শাখাওয়াত হোসাইন লিখেছেন, ‘‘ঘূর্নিঝড় ফণী মোকাবেলা নয়, অশ্লিলতা দূর করুন। দেশে যে হারে জিনা, ধর্ষন, খুন, জুলুম-অত্যাচার ইত্যাদি বেড়েছে ঘূর্নিঝড় ফণী আসবে না তো কি আসবে..! আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সমুদ্রে ফ্যাসাদ প্রকাশ পায়, যার ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের কিছু কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ [সুরা রুম, আয়াত: ৪১।’’
ফাতেমা জহুরার প্রার্থনা, ‘‘হায় আল্লাহ! তুমি কই? আমাদের রক্ষা কর, আমরা তোমার গুনাহগার বান্দা, জেনে না জেনে অসংখ্য ভুল করেছি। আমাদের ক্ষমা কর। এত কঠিন আজাব আমাদের দিও না, আমরা ভয় পাই, তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় পাই, আমাদের ছেড়ে যেও না। আমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাব! আমাদের পথ হারাতে দিও না। আমাদের সঠিক পথে চালিত কর। তোমার দয়া তো অসীম! তোমার দয়ার সাগরে আমরা এই কয়জন পাপী বান্দা কি স্থান পাব না? আমাদের ছেড়ে যেও না আল্লাহ। আল্লাহ গো আমাদের রক্ষা কর.....।’’
মোহাম্মাদ শরিফ লিখেছেন, ‘‘পবিত্র আল-কুরআন থেকে বর্ণিত তোমাদের কর্মের ফল তোমাদের ভোগ করতে হবে অত এবং ঘূর্ণিঝড় সুনামি হেরিকেন ভূমিধস এগুলা পাপের ফল এগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে হবে তিনি ছাড়া মানুষের সাধ্য নাই এর থেকে বাঁচার...।’’
‘‘ঘূর্ণিঝড় "ফনি"কে নয় ফনি দেয়ার মালিক আল্লাহকে ভয় করুন, কারন তিনি ইচ্ছে করলে ধংসও করতে পারেন, তিনি চাইলে আমাদের হেফাজতও করতে পারেন’’ মন্তব্য শামীম রেজা।
এদিকে ফণি আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ছয় নম্বর ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। নাম হয় ফণী। এদিকে ১৯৭৬ সালের পর এপ্রিল মাসে ভারতীয় মহাসাগরীয় অঞ্চলে এত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়নি ভারত।
ফেসবুকে তৌহিদ চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘যে কোন দেশে যখন ফেতনা-ফাসাদ খুন-খারাবি জুলুম-নির্যাতন অন্যায়-অপরাধ খুন ধর্ষণ বেড়ে যায় তখনই আল্লাহর পক্ষ থেকে এই সমস্ত গজব দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেন।’’
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়ে তাহরিমা ইসলাম লিখেছেন, ‘‘ফণি আসতেছে। জানিনা বাঁচব কিনা। আল্লাহ, সকল পাপ ক্ষমা করে দাও। জান্নাতের জন্য কিছু করিনাই। অন্তত জাহান্নামে নিওনা..।’’
‘‘আল্লাহ যদি যম ধরা ধরে তাহলে কোন শক্তিই নেই মোকাবেলা করার। আল্লাহ যখন মানুষের উপর নারাজ হয় তখন গজব হিসাবে এই সব নাজিল হয়’’ মন্তব্য ফাহিম আল হাসানের।
মোয়াজ্জেম হোসাইনের প্রার্থনা, ‘‘আল্লাহ যেন এই ভয়াবহ সংকট থেকে সবাই কে রক্ষা করেন।যতটুকু ধারনা পাওয়া যাচ্ছে তাতে ফনির ধ্বংসলীলা অনেক মারাত্বক ও ভয়াবহ হবে। তাই আমাদের সবাইকে চুড়ান্ত পর্যায়ে সতর্ক থাকতে হবে।’’
ফেসবুক ব্যবহারকারী সাজিদের মন্তব্য, ‘‘আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাহির। দেশের মানুষের পাপের বোঝা এই ফনী।আরো বেশি করে কর মঙ্গলসোভাযাত্রা। খুন গুম রাহাজানী। অসহায়ের সম্পদ লুট।ধর্ষন।ইসলামের বিরোধিতা। কোরআনের বিরোধিতা।সব হিসাব নেওয়া হবে। আল্লাহ তোমার মমীন বান্দাদের হেফাজত করো।’’
ঘর্ণিঝড় থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়া তুলে ধরে ইদ্রিস আলম লিখেছেন, ‘‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরি মা ফিহা ওয়া খাইরি মা উমিরাত বিহি, ওয়া নাউজুবিকা মিন শাররি হাজিহির রিহি ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উমিরাত বিহি’ (তিরমিজি, মিশকাত)। অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট এ বাতাসের ভালো দিক, এতে যে কল্যাণ রয়েছে তা এবং যে উদ্দেশ্যে তা নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার উত্তম দিকটি প্রার্থনা করছি। এবং তোমার নিকট এর খারাপ দিক হতে, এতে যে অকল্যাণ রয়েছে তা হতে এবং এটা যে উদ্দেশ্যে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার মন্দ দিক হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’’#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।