হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মোহাম্মদ আবদুল গফুর
প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মত বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। আগামীকাল (শুক্রবার) কলকাতায় তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যারা আমন্ত্রিত হয়েছেন তাদের অন্যতম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
তবে নিরপেক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি না থাকলেও কলকাতার ঐ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর যোগদান করা ঠিক হতো না। এটা তাঁর জন্য হতো একটা লজ্জাকর ঘটনা। এ লজ্জা এ জন্য নয় যে, পশ্চিমবঙ্গের নেত্রী মমতা ব্যানার্জী একটি প্রদেশ (রাজ্য) পর্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী আর শেখ হাসিনা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। লজ্জার কারণ তাদের দু’জনের নির্বাচিত হওয়ার পদ্ধতির মধ্যেকার বিরাট পার্থক্য।
মমতা ব্যানার্জী নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দীর্ঘকাল ধরে পশ্চিমবঙ্গ শাসনকারী সিপিএম এবং ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে পরাজিত করে। শুধু পরাজিত করেই নয় অতীতের তুলনায় আরও অধিক আসনে বিজয়ী হয়েছে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস।
লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হলো যে সব ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে তাদের কোন দলের পক্ষ থেকেই এ নির্বাচনের সুষ্ঠুতার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তোলা হয়নি। এর অর্থ এ নির্বাচনকে তারা সবাই সুষ্ঠু নির্বাচন হিসাবে মেনে নিয়েছে। আর ভারতের নির্বাচন সম্পর্কে যারা খবর রাখেন তারা জানেন সে দেশে নির্বাচন কমিশন এতো স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ যে ভারতে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে কখনও প্রশ্ন উঠতে দেখা যায় না।
যে কোন দেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশ ও অগ্রগতির জন্য নিয়মিত ব্যবধানে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। থাকতে পারে না। ভারতের মত বিশাল রাষ্ট্র, যেখানে বাস করে অসংখ্য ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও ভাষাভাষী মানুষ সে রাষ্ট্র যে আজও ঐক্য ও সম্প্রতি বজায় রেখে টিকে থাকতে এবং এগিয়ে যেতে পারছে তার প্রধান কারণ সে দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হিসাবে নিয়মিত সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে অভ্যস্ত। সে দেশের মানুষ নিয়মিত ব্যবধানে সুষ্ঠু নির্বাচনে এতটাই অভ্যস্থ যে, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যম ছাড়া রাজ্য বা কেন্দ্রীয় কোন পর্যায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারে না। এটা ভারতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের গভীর আত্মমর্যাদাবোধের পরিচায়কও বটে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের নাগরিকরা তাদের পছন্দের দল বা ব্যক্তিদের তাদের প্রতিনিধিত্ব করা বা নেতৃত্ব দানের অধিকার দেবে এটা দেখতেই তারা অভ্যস্ত। এর অন্যথা কোন নেতা বা কোন দল করুক তা তারা দেখতে যে শুধু অভ্যস্ত নয় তা নয় তাকে তারা তাদের আত্মমর্যাদাবোধের সঙ্গেও সামঞ্জস্যবিহীন বলে মনে করে। আমার প্রতি যাদের শ্রদ্ধাবোধ বা আস্থা নেই, ছলেবলে কৌশলে একটা নির্বাচনী মহড়ার মাধ্যমে আমি তাদের প্রতিনিধি বা নেতা বনে যাব এটা তারা কখনও কল্পনাও করতে পারে না।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের এই অবস্থার সাথে যদি আমাদের দেশের তুলনা করা যায় তা হলে লজ্জায় আমাদের মাথা হেট হয়ে যাবার কথা। আমাদের দেশের এক শ্রেণীর নেতানেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনাকে এতটাই ভীতির চোখে দেখেন যে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের যে কোন নিশ্চয়তাকে প্রতিহত করতে তারা একপায়ে খাড়া। এ করতে গিয়ে তারা বাংলাদেশের মত অমিত সম্ভাবনাময় একটি দেশকে কোথায় নিয়ে এসেছেন তা তারা কখনও চিন্তা করে দেখেছেন বলে মনে হয় না।
দুঃখের সাথে বলতে হয়, যে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে সুদীর্ঘ কালের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে, সে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আমলেই গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি মাত্র সরকারি দল রেখে একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা চালু করা হয়। বহু দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই অভিশপ্তÍ ব্যবস্থা থেকে মুক্তির পরে দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবার পর একপর্যায়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বসেন তদানীন্তন সেনা প্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, ঐ সামরিক ক্যুর নেতৃত্বদানকারী জেনারেল এরশাদের এই অপকর্মের প্রতি সমর্থন দান করে বসেন দেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা। এটা সম্ভব হয়ে উঠেছিল হয়ত এ কারনে যে ঐ উৎখাত হওয়া নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। এর অর্থ এই যে, নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারের চাইতে তাঁর কাছে অধিক কাম্য হয়ে উঠেছিল নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করা সামরিক নেতাকে। বলা বাহুল্য, এটা সংশ্লিষ্ট নেত্রীর গণতন্ত্র প্রীতির প্রমাণ বহন করে না।
শুধু এখানেই শেষ নয়। সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলন শুরু করলে এক পর্যায়ে শেখ হাসিনাও এরশাদবিরোধী সে আন্দোলনে যোগ দিতে বাধ্য হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিলেও রাজনীতিতে নবাগতা বেগম খালেদা জিয়ার মত শেখ হাসিনার সে আন্দোলনে অতটা আন্তরিকতা ছিল না। থাকলে এরশাদের শাসনামল অত দীর্ঘ হতে পারতো না। আন্তরিকতাবিহীন আন্দোলনের শাস্তি তিনি হাতে হাতেই পান এরশাদ-পরবর্তী প্রথম নির্বাচনে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় সেজন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একমত হয়। দুই দল এ বিষয়েও একমত হয় যে, ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ। আওয়ামী লীগ নেত্রীর ধারণা ছিল দেশের প্রাচীনতম ও সবচাইতে সুসংগঠিত দল আওয়ামী লীগই নির্বাচনে জয়ী হবে। নির্বাচনকালে নিজ ভোট কেন্দ্রে ভোটদানের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতাকালে একপর্যায়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, নির্বাচনে হেরে গিয়ে কেউ যেন আবার এর মধ্যে কারচুপি আবিষ্কার না করে। নির্বাচনের পূর্ন ফল প্রকাশিত হলে যখন দেখা গেল আওয়ামী নয় বিজয়ী হয়েছে বিএনপি, তখন অবলীলাক্রমে তিনি বলে ফেললেন নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনেও নিজদল হেরে গেলেই যে নির্বাচনে কারচুপি হতে হয় এটা সম্ভব শুধু আওয়ামী নেত্রীর বিচারেই।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মনে থাকার কথা, এরশাদ আমলের পর প্রথম নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হওয়ায় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। খলেদা সরকারের মেয়াদ শেষে যখন নতুন নির্বাচনের প্রশ্ন ওঠে তখন প্রধানত তদানীন্তন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার দাবির মুখেই সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান বিধিবদ্ধ করা হয়। অতঃপর এইভাবে দেশে বেশ কয়েকটি নির্বাচন হয় এবং তাতে পালাক্রমে দুই প্রধান দলই ক্ষমতাসীন হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ লাভ করে।
এরপর একপর্যায়ে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের জন্য উপযোগী এই সুন্দর ব্যবস্থা পরিবর্তন করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান প্রচলন করা হলে আওয়ামী সরকারের অধীনে বিএনপি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সে নির্বাচন বর্জন করে। দেশের একটি প্রধান দল নির্বাচন বয়কট করায় নির্বাচন একটি প্রহসনে পরিণত হয়। জনগণ ঐ নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আমাদের দেশের জনগণ যেখানে সাধারণত নির্বাচনের দিনে সকল কাজ স্থগিত রেখে ভোরবেলায়ই ভোটের লাইনে দাঁড়াতে অভ্যস্ত সেখানে ৫ জানুয়ারির এই নির্বাচনী প্রহসনে সারাদিন খুব কমসংখ্যক ভোটারকেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে দেখা যায়।
এমন কি আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সমর্থকও কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার গরজ অনুভব করেননি। কারণ তারা জানতেন তারা না গেলেও তাদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা ঠিক ঠিকই করবেন দলের নেতাকর্মীরা। বাস্তবে হয়ও তাই। বিরোধীদলীয় লোকদের অনুপস্থিতিতে শাসক দলের অল্পসংখ্যক কর্মী ইচ্ছামাফিক ব্যালটপত্রে সিল মেরে দলীয় প্রার্থীর স্বপক্ষে বিপুলসংখ্যক “ভোট” প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন। এভাবেই ভোটারদের উপস্থিতি ছাড়াই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী মহড়া পরিচালিত হয় বলে জনগণ এ নির্বাচনের নাম দেয় ভোটারবিহীন নির্বাচন।
৫ জানুয়ারির এই ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা অবশ্য এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে খুব যে অসম্মানিতবোধ করেছেন তা নয়। তিনি বরং বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করায় খুশীই হয়েছেন। জাতীয় সংসদে বক্তৃতাদানকালে তিনি বলেছেন, বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করায় ভালই হয়েছে। সংসদে তাদের খিস্তিখেউড় শুনতে হচ্ছে না। অর্থাৎ সরকার বিরোধী সমালোচনাকে তিনি খিস্তিখেউড়ের চাইতে অধিক মূল্য দিতে অভ্যস্ত নন।
৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর তার নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় জীবনের সকল পর্যায়ে একই পদ্ধতিতে দলীয় ক্ষমতা বিস্তারের নেশা আরও বেড়ে যায়। এর পর প্রথমে উপজেলা পরে ইউপি পর্যায়ে নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে দলীয় প্রভাব বিস্তারের পালা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে এগিয়ে চলেছে। এসব প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে সারাদেশে শাসক দলের মাস্তানী ও দৌরাত্ম্য বিস্তারের লক্ষ্য অনেকটাই অর্জিত হয়েছে, তবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধবর্জিত এসব নির্বাচনী মহড়ার দ্বারা শাসকদলীয় দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির লক্ষ্য যতটা অর্জিত হয়েছে তার ধারেকাছেও অর্জিত হয়নি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য।
এই দুঃখজনক রাজনৈতিক পটভূমিতে পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েও নিজে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালই করেছেন। ঐ অনুষ্ঠানে যাঁদের উপস্থিত থাকার কথা তারা সবাই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাদের সকলেরই বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারির প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন সম্পর্কে জানা থাকার কথা। ঐ ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে তাঁর প্রতি তাদের খুব শ্রদ্ধাশীল থাকার কথা নয়। তাই ঐ অনুষ্ঠানে নিজে না গিয়ে বাস্তবে তিনি বুদ্ধিমত্তারই পরিচয় দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।