যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
অতিরিক্ত স্ট্রেসে আক্রান্ত হয়ে কাজের প্রতি অনীহা এবং দেহে ক্লান্ত ভাব চলে আসে।এর ফলে দেখা দেয় নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা।তাই স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই সচেষ্ট হতে হবে নয়তো আশংকা রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ এমনকি ব্রেন স্ট্রোকেরও। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মনকে শান্ত রাখার পাশাপাশি আশ্রয় নিতে পারেন নানা রকম খাবারের।আসুন জেনে নিই কিভাবে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
১। ডার্ক চকলেট খেলে ‘এন্ডোরফিন’ নামের এক রকম হরমোনের নিঃসরণ হয় যা দ্রুত স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কাটাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ অনুভব করলে তাই ডার্ক চকলেট খেতে পারেন।
২। স্ট্রেস কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। কারণ ব্যায়ামের ফলে দেহের স্ট্রেস হরমোন কমে যাবে। এর ফলে শরীরে অ্যান্ডোর্ফিন নামের রাসায়নিক উপাদান নিঃসৃত হবে যা মানসিকতাকে চাঙা করবে। এটি প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করবে।
৩। স্ট্রেস হলে বুকভরে শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে বাতাস ছেড়ে দিন। এতে মন শান্ত হবে, মানসিক চাপ কমবে। এ ছাড়া প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো, পর্যাপ্ত পানি পান, ফলমূল কিংবা শাকসবজি খেলেও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।সবুজ সবজিতে থাকা ফলিক এসিড ও ম্যাগনেশিয়াম আমাদের মস্তিষ্কে সুখানুভূতির সৃষ্টি করে।
৪। বাড়তি কাজ স্ট্রেস তৈরি করতে পারে। তাই কাজের ফাঁকে বিরতি নিন। এ সময় গান শুনতে পারেন। কারণ, গান মন ভালো করার পাশাপাশি মানসিক চাপ কমায়।
৫। গ্রিন টিতে রয়েছে পর্যাপ্ত ‘পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’। এই চা পান করলে শরীরে ‘সেরেটনিন’ নামের উপাদানের নিঃসরণ বেড়ে যাবে, মন ভালো থাকবে,স্ট্রেস ও দুঃশ্চিন্তা কমবে।
৬। কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন বি আর ভিটামিন ই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে স্ট্রেস বা বিষণ্ণতা কাটাতে সাহায্য করে।
৭। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তবে স্ট্রেস কাটানোর জন্য মস্তিষ্কের পেশি শিথিল করতে সামান্য চিনি খেয়ে দেখতে পারেন। চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন মধুও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।