পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ করা হবে আজ সোমবার। এ দফায় ৯টি রাজ্যের ৭২টি আসনে ৯৫৭ জন প্রার্থী সম্পর্কে জনগণ তাদের রায় জানাবেন। ভারতের শাসক দল বিজেপির আসল লড়াইও শুরু হচ্ছে আজ থেকে। এই শেষ চার পর্বের ভোটের ফলই ঠিক করে দেবে, বিজেপি আবারও ক্ষমতায় আসতে পারবে কি না।
পশ্চিমবঙ্গের আটটি আসনের জন্য লড়াই হচ্ছে ৬৮ জন প্রার্থীর মধ্যে। হেভিওয়েট প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং সুরিন্দর সিংহ। বিহার রাজ্যের পাঁচটি আসনে তিন মহিলাসহ ৬৬ জন প্রার্থী লড়ছেন। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা কানাইয়া কুমারের বিপক্ষে লড়ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। ঝাড়খন্ডের তিনটি আসনে লড়ছেন ৫৯ জন প্রার্থী। এই রাজ্য থেকেই প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুদর্শন ভগত। মধ্যপ্রদেশের ৬ টি আসনের জন্য লড়ছেন ১০৮ জন প্রার্থী। হেভিওয়েট তালিকায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ছেলে নকুলনাথ সহ আরও কয়েকজন। মহারাষ্ট্রের ৪৮ টি লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই করছেন ৮৬৩ জন প্রার্থী। হেভিওয়েট প্রার্থী বলতে রয়েছেন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিলিন্দ মুরলী দেওরা, সুনীল দত্তের মেয়ে প্রিয়া দত্ত, পার্থ পাওয়ারসহ কয়েকজন। উড়িশ্যার ২১টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য লড়ছেন ১৭৪জন প্রার্থী। এখান থেকে রবীন্দ্র কুমার জেনা এবং বৈজয়ন্ত পান্ডার মত প্রার্থীরা লড়াই করছেন। রাজস্থানের ১৩টি আসনের জন্য লড়ছেন ১২১ জন প্রার্থী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিপি চৌধুরী, গজেন্দ্র সিংয়ের পাশাপাশি রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের পুত্র বৈভব গেহলত। উত্তরপ্রদেশের ১৩টি আসনের জন্য লড়ছেন ১৪২ জন প্রার্থী। লড়াইয়ে রয়েছেন অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল যাদব, কংগ্রেস নেতা তথা সাবেক কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী সলমন খুরশিদ সহ আরও কয়েকজন।
চতুর্থ পর্ব থেকে শেষ পর্ব শাসক দলের কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে গোবলয় বলতে যা বোঝানো হয়, সেই রাজ্যগুলোয় এই পর্বগুলোতে সেই সব কেন্দ্রে ভোট হবে, যেখানে বিজেপি ও তার শরিকেরা গত ভোটে একচেটিয়া সাফল্য পেয়েছিল। সেই রাজ্যগুলোর মোট ১৯৫টি আসনের মধ্যে ২০১৪ সালে বিজেপি ও তার শরিকেরা দখল করেছিল ১৭৬টি। পাঁচ বছর আগে নরেন্দ্র মোদি যে জোয়ার তুলেছিলেন, এখন তার মূল্যায়নের সময়। উত্তর প্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খন্ডে বিরোধীরাও এবার অনেক বেশি সংগঠিত। মোদির চ্যালেঞ্জ তাই ভিন্ন প্রকৃতির। সেই কারণেই চতুর্থ পর্ব থেকে ভোট তার কাছে হয়ে উঠছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্ব থেকে ভোট হবে দিল্লির ৭, রাজস্থানের ২৫ ও মহারাষ্ট্রের ৪৮ আসনের মধ্যে বাকি ১৭ আসনে। এই ৪৯ আসনের প্রতিটিই রয়েছে বিজেপির দখলে। এগুলোর বাইরে ভোট হবে বিহারের বাকি ২৬ আসনে, যেগুলোর মধ্যে বিজেপি ও তার শরিক পেয়েছিল ২৫টি এবং ঝাড়খন্ডের ১৪ আসন পেয়েছিল। এই দুই রাজ্যের এই আসনগুলোর মধ্যে বিজেপি হেরেছিল মাত্র ২টিতে। ভোট হবে মধ্যপ্রদেশেও, যেখানকার ২৯টির মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ২৭ এবং পাঞ্জাবের ১৩ আসনে, যেখানে শাসক গোষ্ঠীর দখলে ছিল ৬টি। ভোট বাকি হরিয়ানার ১০ আসনেও, যেখানে বিজেপি ও শরিকের কাছে রয়েছে ৭টি এবং উত্তর প্রদেশের বাকি ৫৪ আসনে। এই আসনগুলো রাজ্যের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে। ৪টি মাত্র বাদ দিয়ে ৫০টিই পেয়েছিল বিজেপি।
অন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান। দুই রাজ্যের মোট আসন ৫৪। দু’টি ছাড়া সব কটিই বিজেপির। দুই রাজ্যে ক্ষমতায় আছে কংগ্রেস। বিজেপিও জানে, পাঁচ বছর আগের কংগ্রেসের সঙ্গে পাঁচ বছর পরের কংগ্রেসের ফারাক বিস্তর। পাঁচ বছর আগের কংগ্রেস ছিল ডিফেন্ডার, এবার চ্যালেঞ্জার। বিজেপি ভোট লড়ছে পুরোপুরি নরেন্দ্র মোদির নামে। দল ও জোটকে তিনি পার করিয়ে দিতে পারবেন কি না, আজ থেকেই শুরু সেই পরীক্ষা। সূত্র: এনডিটিভি, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।