Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম


বিশেষজ্ঞ বা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে দায়ের করা এ-সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল হাইকোটের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারিসহ দুদিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে এ আদেশ দেন।
সারাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়েটিক বিক্রি বন্ধ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) সার্কুলার জারি করবেন। দুদিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতি জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দেবেন তিনি।
আদেশের পরে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, আদালত আমাদের রিট পিটিশনের শুনানি শেষে একটি রুল ইস্যু করেছেন। রুলে সারাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে এ আদেশ পাওয়ার দুদিনের মধ্যে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রতি জেলার সিভিল সার্জন ও ডিসিদের প্রতি সার্কুলার জারি করে এসব আদেশ বাস্তবায়ন করার জন্য পাঠাবেন।
গত ২২ এপ্রিল ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফে ‘সুপারবাগস লিঙ্কড টু এইট আউট অব টেন ডেথস ইন বাংলাদেশ আইসিইউ’স’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ৮০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সুপারবাগ দায়ী। এরপরই জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টর সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিট আবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে বলা হয়, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি শরীর প্রতিরোধ গড়ে তুললে সে অবস্থাকে বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। এসব কারণে প্রতি বছর বিশ্বে সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াতে পারে এক কোটিতে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অ্যান্টিবায়োটিক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ