পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অন্যের অনুকরণ নয়, নতুন নতুন উদ্ভাবনই বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। তাই অন্যদেশগুলো কী করছে, তাতে নজর না দিয়ে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করতে আহ্বান জনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
গত রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দুইদিনব্যাপী বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান তিনি।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোসিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দেশকে কীভাবে ডিজিটাইজড করতে হবে, এ বিষয়ে কোনো দেশেরই কোনো পরিকল্পিত রূপকল্প ছিল না। প্রতিটি দেশের সমস্যা ও সম্পদ একেবারে আলাদা। তাই আপনাকে থাকতে হবে নির্দেশকের ভূমিকায়। আর আমরা তা সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছি। তাই আপনারা নতুন কিছু উদ্ভাবন করুন, নতুন প্রযুক্তি খুঁজুন। আপনারা কেউ অনুকরণ করবেন না, উদ্ভাবন করুন।
সরকারের উন্নয়নের কথা জানিয়ে আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, দশ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেনি ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সফলতার সঙ্গে সেটা করতে সক্ষম হয়েছে। আইসিটি খাতে উন্নয়নের জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। স্বল্প খরচে এ উন্নয়ন করা হচ্ছে।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমি বিপিও সেক্টরে কাজ করা তরুণ তরুণীদের নিয়েও গর্ববোধ করি। এই স্মার্ট তরুণরা ভবিষ্যৎ এখন নিজেরাই গড়ে নিচ্ছে নিজেদের মেধার বলে। তারা এখন সরকারি চাকরির অপেক্ষা করছে না। গতানুগতিক চাকরির জন্য কিন্তু তারা বসে নাই। তারা তাদের পেশার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করেছে, যা আগে কখনও বাংলাদেশ ছিল না। প্রযুক্তির বাজারে আজকের তারুণ্য আগামীতে মূল চালিকাশক্তি হবে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে আইসিটি সেক্টরে তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, আইসিটি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ দশভাগেরও কম। তবে এটি অচিরেই ৫০ ভাগে উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।