পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
২৭ ফেব্রুয়ারি মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানের আকাশে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতের বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পরে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর পাল্টা আঘাতে সে মিগ-২১ বাইসন পাকিস্তানের সীমানাতেই ভূপাতিত হয়। প্রথমে জনতার হাতে ধরা পড়ে মারধরের শিকার হন অভিনন্দন। পরে বিমানবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরদিন ইমরান খান কোনো প্রকার শর্ত ছাড়াই তার মুক্তির ঘোষণা দেন এবং ১ মার্চ তিনি ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরত যান। ভারতের বিমানবাহিনী গত শনিবার অভিনন্দনকে ‘বীর চক্র’র জন্য মনোনীত করে। তাদের দাবি, অসীম সাহসে বলীয়ান হয়েই পাকিস্তানের মাটিতে হামলা চালাতে গিয়েছিলেন অভিনন্দন। এমনকি ভূপাতিত হওয়ার আগে তিনি পাকিস্তানের অন্তত একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান সে দাবি অস্বীকার করেছে। এমনকি পরে মার্কিন পরীক্ষক দিয়েও নিজেদের দাবির পক্ষে প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু ভারত তাদের এ দাবি থেকে অনড় অবস্থানে রয়েছে। তবে মজার বিষয় হলো এ ব্যাপারে অভিনন্দন বর্তমান এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। বিমান ধ্বংস করা বা না করার ব্যাপারে তিনি মুখ খোলেননি। এ অবস্থায় অভিনন্দনকে এ সম্মাননা দেয়ার ব্যাপারে কথা বলেছে পাকিস্তান। আইএসপিআরের ডিজি আসিফ গফুর বলেছেন, কোনো পুরস্কার প্রদান কিংবা বারবার বললেই একটা মিথ্যে সত্যি হয়ে যায় না। অভিনন্দনের ব্যাপারে তিনি বলেন, উইং কমান্ডার একজন গর্বিত সেকেন্ড জেনারেশন সৈনিক। ভ্রান্ত জাতীয়তাবাদে ডুবে না গিয়ে তিনি পেশাগতভাবে সৎ একজন ব্যক্তি। এখন যদি প্রেসারে পড়ে তিনি মত পরিবর্তনও করেন তাহলেও সত্যিটা পাল্টায় না। অপরদিকে, যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতে গিয়ে পাকিস্তানের সেনাহিনীর হাতে ধরা পড়া ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান স¤প্রতি নির্দিষ্ট সময়ের আগে শ্রীনগরে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ভারতীয় গণমাধ্যম ওয়েস্টবেঙ্গল.কমের খবর, পাকিস্তানের হাতে বন্দি হওয়ার পর তার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে অভিনন্দনের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। সেই কারণেই কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে অন্যত্র পোস্টিং দেওয়া হল উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে। জানা গেছে, পাক সীমান্তের পশ্চিম সেক্টরের এক গুরুত্বপূর্ণ বেসে কাজ করবেন তিনি। খুব শিগগিরই শ্রীনগরের এয়ারবেস থেকে নতুন জায়গায় যাবেন অভিনন্দন। তবে সুরক্ষার কারণেই উইং কমান্ডারের নয়া বেসক্যাম্পের নাম গোপন রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দেশে ফেরা অভিনন্দনকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন করা হয়। পিঠে চোটের কারণে করা হয় একাধিক মেডিক্যাল টেস্ট। এই সপ্তাহের শুরুতেই ফের মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে তার। সেখানে তার সুস্থতার রিপোর্ট পাওয়ার পরই চিকিৎসকদের কাছে থেকে ফের ফাইটার পাইলট চালানোর ছাড়পত্রও পেয়েছেন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। ডন, ওয়েস্টবেঙ্গল.কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।