Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মায়ের জিন-ই ঠিক করে সন্তান মেধাবী হবে কি না!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:১১ পিএম

শিশুর মস্তিষ্কে মায়ের জিন থেকেই বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটে। এই ব্যাপারে বাবার কোনও ভূমিকাই নেই। দীর্ঘ বিতর্ক ও সমীক্ষার শেষে এই রায় দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ডিম্বাণুতে তার উপস্থিতি একজোড়া। কিন্তু শুক্রাণুতে মাত্র একটি এক্স ক্রোমোজোম থাকে। জিন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এক্স ক্রোমোজোমই বহন করে বুদ্ধিদীপ্ত জিন। 

শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বাবার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জ্ঞান সম্পর্কীয় উন্নত আচরণ যুক্ত জিন নিজে থেকেই অকেজো হয়ে যায়। এই কারণে শিশুমনে বুদ্ধির বিকাশ ঘটার পিছনে একমাত্র প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে তার মায়ের থেকে পাওয়া জিন।

পরীক্ষাগারে ইঁদুরের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে মায়ের জিন প্রবেশ করিয়ে দেখা গিয়েছে, মাথা ও মস্তিষ্কের আকারে বৃদ্ধি ঘটলেও তাদের শরীরের বাকি অংশ তুলনায় ছোট হয়। অন্য দিকে, বাবার জিনের পরিমাণ বেশি থাকলে শরীর বড় হলেও মাথা ও মগজ ছোট হয়।

১৯৯৪ সালে ১৪ থেকে ২২ বছর বয়সী ১২,৬৮৬ জন তরুণের উপর করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মায়ের IQ-এর উপরেই নির্ভর করে সন্তানের বুদ্ধিমত্তার দৌড়। তবে গবেষণায় এ-ও দেখা গিয়েছে যে, মানুষের বুদ্ধি শুধুমাত্র উত্তরাধিকার বা জিন সূত্রে প্রাপ্ত হয় না। শিশু বেড়ে ওঠার সময় জিনের প্রভাব যদি ৪০% থেকে ৬০% হয়, তবে বাড়ন্ত বয়সে পারিপার্শ্বিকও সমান ভাবে তার বুদ্ধি ও আচরণের উপর প্রভাব ফেলে।

মায়ের জিন-ই ঠিক করে সন্তান মেধাবী হবে কি না!

অনলাইন ডেস্ক

  • Currently 3.80/5
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5

গড় রেটিং: 3.8/5 (5 টি ভোট গৃহিত হয়েছে)

 
মায়ের জিন-ই ঠিক করে সন্তান মেধাবী হবে কি না!
প্রতীকী ছবি

শিশুর মস্তিষ্কে মায়ের জিন থেকেই বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটে। এই ব্যাপারে বাবার কোনও ভূমিকাই নেই। দীর্ঘ বিতর্ক ও সমীক্ষার শেষে এই রায় দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ডিম্বাণুতে তার উপস্থিতি একজোড়া। কিন্তু শুক্রাণুতে মাত্র একটি এক্স ক্রোমোজোম থাকে। জিন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এক্স ক্রোমোজোমই বহন করে বুদ্ধিদীপ্ত জিন। 

শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বাবার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জ্ঞান সম্পর্কীয় উন্নত আচরণ যুক্ত জিন নিজে থেকেই অকেজো হয়ে যায়। এই কারণে শিশুমনে বুদ্ধির বিকাশ ঘটার পিছনে একমাত্র প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে তার মায়ের থেকে পাওয়া জিন।

 

পরীক্ষাগারে ইঁদুরের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে মায়ের জিন প্রবেশ করিয়ে দেখা গিয়েছে, মাথা ও মস্তিষ্কের আকারে বৃদ্ধি ঘটলেও তাদের শরীরের বাকি অংশ তুলনায় ছোট হয়। অন্য দিকে, বাবার জিনের পরিমাণ বেশি থাকলে শরীর বড় হলেও মাথা ও মগজ ছোট হয়।

১৯৯৪ সালে ১৪ থেকে ২২ বছর বয়সী ১২,৬৮৬ জন তরুণের উপর করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মায়ের IQ-এর উপরেই নির্ভর করে সন্তানের বুদ্ধিমত্তার দৌড়। তবে গবেষণায় এ-ও দেখা গিয়েছে যে, মানুষের বুদ্ধি শুধুমাত্র উত্তরাধিকার বা জিন সূত্রে প্রাপ্ত হয় না। শিশু বেড়ে ওঠার সময় জিনের প্রভাব যদি ৪০% থেকে ৬০% হয়, তবে বাড়ন্ত বয়সে পারিপার্শ্বিকও সমান ভাবে তার বুদ্ধি ও আচরণের উপর প্রভাব ফেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজ্ঞান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ