Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উজ্জ্বল আলোর ঝলকানিতে বিস্মিত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে ২৪০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে একটি আলোর উজ্জ্বলতম ঝলকানি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং সম্ভবত একটি বøাক হোল গঠনের ফলে উদ্ভ‚ত হয়েছিল। এটি গামারশ্মির বিস্ফোরণ এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ। প্রথম ৯ অক্টোবর এটি একটি ঘূর্ণায়মান টেলিস্কোপে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং সেখানে মহাকাশে এর আফটারগেøা বা রক্তিম আলোর বিচ্ছুরণ এখনও সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা দেখছেন। জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী ব্রেন্ডন ও’কনর এএফপিকে বলেছেন যে, গামারশ্মি বিস্ফোরণ কয়েকশ’ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। গত ৯ অক্টোবর রোববার টেলিস্কোপে এটি ধরা পড়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে আমাদের সূর্যের চেয়ে ৩০ গুণেরও বেশি বড় একটি নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটছে। তারাটিতে একটি সুপারনোভা বিস্ফোরণ ঘটে এবং একটি বøাক হোলে ভেঙে পড়ে। তারপর বøাকহোল ঘিরে চারপাশে একটি ডিস্ক তৈরি করে ভিতরে পতিত হতে থাকে এবং একটি শক্তির জেট বেরিয়ে যায়, যা আলোর গতির ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেগে ছড়িয়ে পড়ে। ফ্ল্যাশটিতে ফোটন রেকর্ড ১৮ টেরাইলেক্ট্রনভোল্ট শক্তি বহন করেছে, এই সংখ্যাটি হবে ১৮ এর পরে ১২টি শ‚ন্য এবং এটি পৃথিবীর আয়নোস্ফিয়ারে দীর্ঘ তরঙ্গ রেডিও যোগাযোগকে প্রভাবিত করেছে। ও’কনর বলেন, ‘আমাদের কাছে পৌঁছানো ফোটনের পরিমাণ এবং শক্তি সত্যিই রেকর্ড ভঙ্গ করছে।’ তিনি শুক্রবারের প্রথম দিকে নতুন করে পর্যবেক্ষণে চিলির জেমিনি সাউথ টেলিস্কোপে ইনফ্রারেড যন্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। ও’কনর বলেন, ‘এই উজ্জ্বলতার কাছাকাছি কিছু একটা আছে। সত্যিই একটি শতাব্দীর একটি বড় ঘটনা।’ গামারশ্মি গবেষণা প্রথম ষাটের দশকে শুরু হয়েছিল, যখন মার্কিন উপগ্রহগুলো সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে কি না তা শনাক্ত করার জন্য। এগুলোর ডিজাইন করেছিল। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল এই ধরনের বিস্ফোরণগুলো আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ের বাইরে থেকে উদ্ভ‚ত হয়েছে। ও’কনর বলেন, ‘সাধারণভাবে গামা-রশ্মি বিস্ফোরণে একই পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়, যা আমাদের সূর্যকে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে তার সমগ্র জীবনকালের সমান শক্তি উৎপন্ন করে এবং এই ঘটনাটি সবচেয়ে উজ্জ্বল গামা রশ্মির বিস্ফোরণ।’ টেলিস্কোপে ধরা পড়া এই গামারশ্মি বিস্ফোরণ ‘জিআরবি ২২১০০৯এ’ নামে পরিচিত, ইস্টার্ন টাইম রোববার সকালে নাসার ফার্মি গামা-রে স্পেস টেলিস্কোপ, নীল গেহরেলস সুইফ্ট অবজারভেটরি এবং উয়িন্ড স্পেসক্রাফটসহ বিভিন্ন টেলিস্কোপে প্রথম দেখা যায়। বিবিসি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ