বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় আটক হওয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পিবিআই। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল শনিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাফউদ্দিন আহমেদ এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শনিবার বিকালে রুহুল আমিনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহআলম ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সোনাগাজী পৌর শহরের নিজ বাড়ী থেকে রুহুল আমিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রুহুল আমিন ওই মাদরাসার সদ্য বাতিল হওয়া পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই মামলার অন্যতম দুই আসামি মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এতে রুহুল আমিনের নাম উঠে আসে। শামীম জবানবন্দিতে জানায়, রাফির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর দৌঁড়ে নিচে নেমে রুহুল আমিনকে ফোনে রাফিকে আগুন দেওয়ার বিষয়টি জানায় সে। তখন রুহুল আমিন তাকে বলেন, ‘আমি জানি। তোমরা চলে যাও।’
এদিকে ২৭ মার্চ মাদরাসার অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যৌন হয়রানির পর রাফির ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৎপর ছিলো রুহুল আমিন। তিনি এ সম্পর্কে থানায় মামলা কিংবা কাউকে না জানাতে রাফির পরিবারকে চাপ দেয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মামলা দেয়ায় এবং অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা গ্রেফতার হওয়ায় রাফির পরিবারের উপর নাখোশ হন রুহুল আমিন। ৬ এপ্রিল রাফির মৃত্যুর পরও ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে রুহুল আমিন ও ওসি মোয়াজ্জেম নানা কুটকৌশল করে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
এক পর্যায়ে ৮ এপ্রিল ওসি মোয়াজ্জেমকে প্রত্যাহার করে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করার পর বেকায়দায় পড়ে যায় রুহুল আমিন। একেএকে এজাহারভুক্ত ৮ আসামীসহ ঘটনায় অভিযুক্ত আরো ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৩ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত ক’দিন ধরেই রুহুল আমিনের গ্রেফতারের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভাতে বিতর্কিত এ আওয়ামীলীগ নেতা অংশ না নেয়ায় তার গ্রেফতারের বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেফতার করা না হলেও তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারীতে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।