পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের ওসমানীনগরে ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করে তার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেছিল সফজ্জুল নামে এক ব্যক্তি। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে টানা ২ বছর ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ২টার সময় আবার বেহুলাকে ধর্ষণের জন্য গোয়ারাবাজারস্থ দাশপাড়া রোডে একটি বাসায় ডেকে আনা হয়। এসময় তাকে ধর্ষণ ও মারধর করে টাকা দাবি করেন সফজ্জুল। রাত ১০টার সময় বেহুলা ওসমানীনগর থানায় এসে বিষয়টি ওসি এস এম আল মামুনকে জানালে পুলিশ কৌশলে অভিযুক্ত সফজ্জুলকে আটক করে। এদিকে, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একইভাবে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে এক স্থানীয় বখাটে। এতে অপমান সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ওই ছাত্রী। এছাড়া চাঁদপুরে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ প্রতিবেদন :
ওসমানীনগর : সিলেটের ওসমানীনগরে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করেছে থানা পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সফজ্জুল মিয়া (৩৮)। তিনি উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের ভাড়েরা গ্রামের আকলুছ মিয়ার ছেলে। গত শুক্রবার তাকে সিলেট আদালতে বিচারকের সামনে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা।
জানা যায়, তাকে গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ধর্ষণের চিত্র ধারণকরা মোবাইল সেট এবং মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওসমানীনগর থানায় ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে দু’টি (ধর্ষণ মামলা নং-১২ এবং পর্নগ্রাফি মামলা নং-১৩) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাঁদপুর : চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ অভিযোগে সোহেল হোসেন নামে এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুরের বিচারিক হাকিম সফিউল আজমের আদালতে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন সোহেল। পরে আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামে ধর্ষিতা শিশুর বাড়িতে গিয়ে তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছুটি শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের বখাটে যুবক সোহেল হোসেন (৩২) মুখ চেপে ধরে তার বাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায় শিশুটিকে। পরে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির সঙ্গে থাকা অন্য সহপাঠীরাও স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। এমন পরিস্থিতিতে শিশুটি বাড়িতে না পৌঁছায় স্বজনরা খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে শিশুটিকে পাশের বাড়ির সোহেল হোসেনের বাসার সামনে কান্না করতে দেখেন। স্বজনদের কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন শিশুটি। রাতেই এ ঘটনায় জড়িত বখাটে সোহেল হোসেনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিশুর মা। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রুস্তমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সোহেল হোসেনকে গ্রেফতার করে। এদিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
গফরগাঁও : ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ছয়বাড়িয়া গ্রামে ধর্ষণের শিকার জনৈকা স্কুল ছাত্রী অপমানে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে আশংকাজনক অবস্থায় ঔস্কুল ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় নির্যাতিত স্কুল ছাত্রীর বাবা তাইজ উদ্দিন বাদী হয়ে গত শুক্রবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গফরগাঁও থানা মামলা দায়ের করেছেন।এসআই জাকিউর রহমান জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে মেয়েটি এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান ।
ছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ছযবাড়িয়া গ্রামের দরিদ্র রিক্সা চালক তাইজ উদ্দিনের মেয়ে কালাইপাড়-জালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে একই গ্রামের জুয়েল মাঝির বখাটে ছেলে হৃদয়(২৫)বাড়িতে একা পেয়ে সম্প্রতি ধর্ষণ করে। এসময় বখাটে হৃদয় গোপনে বন্ধুদের দিয়ে মোবাইফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও ঔস্কুল ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে হৃদয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বখাটে হৃদয় স্কুল ছাত্রীর বাবা মাকে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র দেখিয়ে ঘটনাটি নিয়ে চুপ থাকতে বলে। বৃহস্পতিবার সকালে আপত্তিকর ভিডিওটি ফেরত দেওয়ার কথা বলে বখাটে হৃদয় ও তার বন্ধু রাসেলসহ তিন যুবক ঔস্কুল ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ছয়বাড়িয়া গ্রামের আতকা বিলের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় স্কুল ছাত্রীর ডাক চিৎকারে জনৈক কৃষক এগিয়ে এলে বখাটে হৃদয় ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়।অপমান সইতে না পেরে ঔস্কুল ছাত্রী দুপুরে বাড়ি ফিরে বিষপান করে। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে প্রথমে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অবস্থার অবনতি হলে রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।