বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের গোলাপগঞ্জ মডেল থানার বিতর্কিত ওসি ফজলুল হক শিবলীকে বদলী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ই এপ্রিল) তাকে গোলাপগঞ্জ থানা থেকে ঢাকার পুলিশ কোয়াটারে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়। গত শুক্রবার তিনি গোলাপগঞ্জ থানা ত্যাগ করেন। শিবলী গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার থানায় ১০বছর দায়িত্ব পালন করেন। গোলাপগঞ্জ থানায় একমাত্র ওসি শিবলীই একাধারে ৫ বছরের অধিক সময় স্থায়ী ছিলেন। এর আগে কোন ওসি বা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তাও এতো দীর্ঘ মেয়াদী ছিলেন না।
২০০৯সালের ২১জুন বিয়ানীবাজার থানায় যোগদান করেন এবং ২০১৩সালের ১৯জুন প্রতিবেশি থানা গোলাপগঞ্জে যোগদান করেন। তার দায়িত্ব পালনকালে গোলাপগঞ্জ উপজেলায়, চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,হত্যা,গুপ্ত হত্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছিল। ওই থানায় যোগদানের পর বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে আলোচনা সমালোচনায় আসেন তিনি।
মিথ্যা মামলার আসামী হওয়ার ভয়ে কেউই মুখ খোলার সাহস পায়নি। থানায় যোগদানের পর সাধারণ মানুষকে অযথা ধরে এনে বিভিন্ন মামলার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায়সহ নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।শুধু তাই নয় তিনি ওই থানায় যোগদানের পর থেকে উৎকোচকের বিনিময়ে অনেক নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা মামলার আসামী করেছেন। এসব মিথ্যা মামলায় কেউ জেলের ভিতর আবার কেউ জামিন নিয়ে তারিখে তারিখে হাজিরা দিচ্ছেন। ওসি শিবলী যোগদানের পর অসহায় লোক আইনী কোন সহায়তা পাওয়ার চেয়ে উল্টো মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছেন। এসবের প্রতিবাদ করায় সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক সহ প্রবাসী সাংবাদিক কেউই উনার হাত থেকে রেহাই পায়নি। এ নিয়ে ভূক্তভোগিরা সু-বিচার পাওয়ার জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), সিলেটের ডি.আই.জি ও পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাতে কোন কাজ হয়নি।
সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় বিতর্কিত ওসি শিবলীর অনিয়মের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী গোলাপগঞ্জে আসার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছিল।
এদিকে ওসি ফজলুল হক শিবলী বদলী হওয়ায় উপজেলার বেশিরভাগ লোক আনন্দিত হয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। অনেকে তার বদলীর খবর শুনে একে অপরকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন। সব মিলিয়ে তার বদলীতে গোটা উপজেলায় স্বস্তি নেমে এসছে।
বিদায় মুর্হুতে এক দিনমজুর খুনের ঘটনার মামলা নিয়ে তার একান্ত আইনী সেবা প্রদান করে অতীতের ন্যায় বিরল ! দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তিনি। এই খুন ও মামলা, গ্রেফতার ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের শেষ নেই। কিন্তু বলার কিছু নেই কারন ওসি শিবলীর ছড়ি ঘুরানোর ক্ষমতা নিয়ে কারো কিছু বলার নেই। পাশে সরকার দলের সুবিধাভোগীরা, সেই সাথে নিজ ডির্পাটমেন্টে অনন্য এক ক্ষমতাধর।
আইনী সেবা দিয়ে ঘুরে ফিরে ঠানা ১০ বছর প্রচন্ড ক্ষমতা নিয়ে দাপিয়ে কর্তৃত্ব দেখিয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদের নির্বাচনী আসন গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে। মাঠে ছিল তার পক্ষে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিক সমর্থন। সেকারনে টানা ১০ বছর টানা চেয়ারে বসে চাকুরী বিধি লংগন হলেও কেউ কিছ’ করার ছিল না। পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও জানতেন, ওসি শিবলীর চেয়ারের বাড়তি প্রভাব। তাই হয়তো ৩ বছরের পর্যন্ত যে চেয়ারে বসার শর্ত, সেই চেয়ার শক্ত ভাবে আকড়ে ধরেছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।