Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষণের শিকার আরো ৩ : আটক ২

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

টাঙ্গাইলে বেড়াতে এসে পাকিস্তানি এক কিশোরী অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে আড়াইহাজারে ধর্ষণের শিকার হয় এক কিশোর। এছাড়া ফেনীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে তিন দিন ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত মো. মুকুল। আমাদের জেলা ও উপজেলা সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ রিপোর্ট :
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পাকিস্তানী এক কিশোরী ছাত্রীকে (১৭) অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষকের মা আনোয়ারা বেগমকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে। এর আগে বুধবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে অপহরণের স্বীকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী ভ্রমণ ভিসা নিয়ে মায়ের সাথে বাংলাদেশে বেড়াতে আসে। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাই ওয়েজ রোডের বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর আনুমানিক ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচিতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগমকে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেছিলেন হুমায়ুন। পাঁচ মাস আগে গত বছরের নভেম্বরের ২২ তারিখে হুমায়ুনের স্ত্রী পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগম ৬ মাসের ভিসায় মেয়েকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন। গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় আল আমিন তার চাচা আব্দুল ওয়াদুদের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষক আল আমিনের মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
ফেনী জেলা সংবাদদাতা জানান, ফেনীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে তিন দিন ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফেনী সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা একটি মামলায় মো. মুকুল (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে আসামি নেত্রকোনার বাসিন্দা মুকুল গত বৃহস্পতিবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তানিয়া ইসলামের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযোগকারী নারীও। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, আড়াইহাজারে ঝোপে নিয়ে ১৪ বছরের এক শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের বিবির কান্দী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির ভাই বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার বিবির কান্দী গ্রামের ১৪ বছরের শিশুর বাবা-মা বেড়াতে যায়। তখন মেয়েটিকে একই গ্রামে তার ফুফুর বাড়ীতে রেখে যায়। এই সময় বিবিরকান্দী গ্রামের সাজন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২২) মোবাইল ফোনে মেয়েটিকে বাহিরে আসতে বলে। মেয়েটি বাহিরে আসলে একই গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে জালাল (২৪) এর সহযোগিতায় জোরপূর্বক মেয়েটিকে তার ফুফুর বাড়ীর পিছরের ঝোপ ঝাড় নিয়ে জালালের সহযোগিতায় জুয়েল ধর্ষণ করে। আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।



 

Show all comments
  • Jalal Uddin Ahmed ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৪৭ এএম says : 0
    Strong punishments are needs
    Total Reply(0) Reply
  • Zahid Islam ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৪৭ এএম says : 0
    কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Tahsinn Rudro ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৪৮ এএম says : 0
    avabe ar cholte deya jay na.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ