Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারের হস্থক্ষেপের কারণেই খালেদা জিয়া জামিন পাচ্ছেন না

ময়মনসিংহে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:২৫ পিএম

‘দেশে আইনের শাসন নেই বলেই সরকারের হস্থক্ষেপে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জামিন পাচ্ছেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে খাতা কলমে আইন আছে, প্রশাসনও আছে। কিন্তু আইনের শাসন বলতে যেটা বুঝায় সেটা কিন্তু আওয়ামীলীগের আমলে নেই। আ্ইনের শাসন নেই বলেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের হস্থক্ষেপের কারনেই জামিন পাচ্ছে না। আইন যদি থাকত আর আইনের বাস্তবায়ন থাকত। তবে তিনি অবশ্যই অনেক আগেই জামিন পেতেন। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার জামিনে বাধাঁ সৃস্টি করত না। সুতরাং আজকে আমাদের চিন্তা করতে হবে বাংলাদেশে গনতন্ত্র নেই বলেই প্রধানমন্ত্রী বার বার বাকশালের কথা বলছেন। তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে রাজপথে আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এটাই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য। সৈয়দ আলাল আরো বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই আজকের এই জুরুরী বৈঠক। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করুন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য। আগামী দিনে কর্মসূচী ঘোষনা করবে অভিভাবক সংগঠন বিএনপি। রাজপথে তা বাস্তবায়নের জন্য থাকবে তারুণ্যে ভরপুর ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।’
শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির জরুরী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আলাল আরো বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই বলেই ৬ বছরের শিশু থেকে ৬ সন্তানের জননী পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। আর এ সকল ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু তাদের বিচার হচ্ছে না। তিনি বলেন, ভাসানী-সোরোয়ার্দী আর বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ এখন আর নেই। আওয়ামীলীগ এখন প্রশাসনের দয়া ভিক্ষায় টিকে আছে। পুলিশ, ডিসি, এসপির কাছে আওয়ামীলীগ এখন বড়ই অসহায়।
জরুরী সভায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নূরজাহান ইয়াসমীন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহম্মেদ, ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটন, বিএনপি নেতা ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু, জাকির হোসেন বাবলু, এবি সিদ্দিকুর রহমান, আলমগীর মাহমুদ আলম, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কাজী রানা, শাহ শিব্বির আহম্মেদ বুলু, জয়নাল আবেদীন, জাকারিয়া হারুন, মাহাবুবুল আলম মাহাবুব, লিটন আকন্দ, অ্যাড.আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান বাচ্চু, রতন আকন্দ, আখতারুল আলম ফারুক, ফারজানা রহমান হুসনা, হেলাল আহম্মেদ, শেখ আজিজ, অ্যাড. এমএ হান্নান খান, আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, শামীম আজাদ সহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, আইনজীবী ফোরামের সাধারন সম্পাদক অ্যাড.নূরুল হক, যুবদল নেতা রুকনুজ্জামান সরকার, ভিপি শামছুল হক শামছু, মোজাম্মেল হক টুৃটু, দিদারুল ইসলাম রাজু, জোবায়েদ হোসেন শাকিল, বিপ্লব, শ্রমিক নেতা মফিদুল ইসলাম মোহন, শহীদুল ইসলাম দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শহীদুল আমীন খসরু, ভিপি ফরিদ, আলী আকবর আনিস, ফয়সাল, ছাত্রদল নেতা মাহাবুবুর রহমান রানা, নাইমুল করিম লুইন, তানভীর আহমেদ রবিন, আবু দাঈদ রায়হান, রায়হান শরীফ হলুদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২৫ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ