Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নেছারাবাদে সতীনের ছুড়ে মারা গরম পানিতে ঝলসে গেল গৃহবধূর শরীর

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:৫৬ পিএম | আপডেট : ৩:৫৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯

নেছারাবাদে হোসনেয়ারা বেগম(৪৭) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা চেষ্টায় গায়ে গরম পানি মেরে শরীর ঝলছে দিয়েছে সতীন। সতীনের ছুড়ে মারা গরম পানিতে ওই গৃহ বধূর শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সোমবার রাতে সুটিযাকাঠি গ্রামের আব্দুল হালিম খানের দ্বিতীয় স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম এর উপর এ নির্মম ঘটনাটি ঘটিয়েছে হালিমের বড় বউ ও তার সন্তানরা। গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া ওই গৃহ বধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার গৃহবধূর অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ প্রেরণ করেছেন।
হাসপাতাল বেডে চিকিৎসাধীন হোসনেয়ারা জানান, সে সুটিয়াকাঠি গ্রামের আব্দুল হালিম খানের দ্বিতীয় স্ত্রী। সোমবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে হোসনেয়ারা ঘরের ভিতরে বসে বিশ্্রাম নিচ্ছিলেন। এসময় তার বড় সতীন বেবি বেগম, সতিনের মেঝো ছেলে বেল্লাল,সেজো ছেলে রমজান ও বড় ছেলে রুহুলের স্ত্রী আইরিন বেগম তাকে মারধোর করে ঘরের দরজা আটকিয়ে তার শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয়। তারপর সতীন ও তার সহযোগিরা ঘরের দরজা আটকিয়ে উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্স চালিয়ে রাখে। একপর্যায়ে প্রতিবেশিরা হোসনেয়ারার আত্মচিৎকার শুনে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হোসনেয়ারাকে গুরতর অসুস্থ্য দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান জানান, হোসনেয়ারার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ