Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফটিকছড়িতে গৃহবধূকে যৌন নির্যাতন শেষে গলা কেটে হত্যা, শ্বশুরকে ছুরিকাঘাত

ফটিকছড়ি উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:৫০ পিএম | আপডেট : ৪:০১ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯

ফটিকছড়ির ভূজপুরে ডাকাত বেশে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে যৌন নির্যাতনের পর জবাই করে হত্যা এবং শ্বশুরকে ছুরিকাঘাতে পেটের নাড়ি-ভূড়ি বের করে ফেলা হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর দেড় বছরের এক সন্তান রয়েছে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভূজপুর থানাধীন হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের মহানগর গ্রামের ভূবন মহাজনের বাড়ীতে গত শনিবার রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এক দল দুর্বৃত্ত মিলন কান্তির ঘরের দেওয়াল টপকে ছাদের উপর দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাত দল ঘরে ঢুকেই জিনিসপত্র এলোমেলো শুরু করলে ভয়ে তার দেড় বছরের নাতি কান্নাকাটি আরম্ভ করে। এ সময় মিলন বাবুর স্ত্রী তার নাতিকে নিয়ে ঘরের তালা খুলে বাইরে চলে যায় এবং প্রতিবেশীকে ডাকাতির বিষয়টি অবহিত করলে তারা ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। ততক্ষণে ডাকাত দল তাদের গৃহবধূ মা-মণি বালা দে (২৫) কে যৌন নির্যাতন শেষে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং গৃহকর্তা মিলন কান্তি দে (৫৫) কে ছুরিকাঘাতে নাড়ি-ভূড়ি বের করে ফেলে। লোকজন এগিয়ে আসছে দেখে ডাকাত দল পালিয়ে যাবার সময় দুটি মোবাইল এবং দুটি টর্চ লাইট নিয়ে যায়। ডাকাতরা পালানোর সময় সানি নামের পাশের বাড়ির এক যুবককেও ডাকাত দলের সাথে দেখতে পায় গৃহকর্তী। ওই গৃহকর্তী জানান, এলাকার কারো সাথে তাদের কোন বিরোধ বা শত্রুতা নেই। কি কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে- তার রহস্য আমরা জানি না।

খবর পেয়ে রাতেই ভূজপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত মিলন কান্তিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে এলাকাবাসী। নিহত গৃহবধূর স্বামী রুপন কান্তি দে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে রয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহভাজন হিসেবে এলাকা থেকে তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে, সানি দাশ (১৯), পিতা- অমর দাশ, জয় দেব (১৮), পিতা- উজ্জল দেব, তয়ন দে (২২), পিতা- শ্যামল দে।

তবে ভূজপুর থানার ওসি শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্ধিগ্ধ দু’জনকে আমরা আটক করেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে; লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গলা কেটে হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ