সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলাম হত্যার আরেক আসামী একই মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক আহমদ আলী হেলালীকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার গোয়ালাবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হেলালী সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পূর্ব চানসীর কাপন গ্রামের মৃত আসদ্দর আলীর পুত্র।

থানা সুত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলামকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলার প্রধান আসামী ঐ মাদরাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক লুৎফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে মাদাসার সহকারী অধ্যাপক আহমদ আলী হেলালীকে গতকাল শনিবার গ্রেফতার করা হয়।
তাকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলাম মাদরাসায় যাচ্ছিলেন। পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই মাদরাসার বাংলার প্রভাষক লুৎফুর রহমান ওরফে আজাদ নিজ প্রাইভেট কার দিয়ে অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলামকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই শায়খুল ইসলাম নিহত হন।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নিহতের স্ত্রী দিলবাহার তালুকদার লিপি (৩৭) বাদী হয়ে শেখ ফজিলাতুন্নেছা ফাজিল মাদরাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের মৃত তাহির আলীর ছেলে লুৎফুর রহমান ওরফে আজাদ (৪৪) কে প্রধান আসামী ও অজ্ঞাতনাম আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৩। মামলার প্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসের তারিখ ভোরে অভিযুক্ত লুৎফুরকে সিলেট শহর থেকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মমিনুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, প্রধান আসামীর জবানবন্দীর আলোকে আহমদ আলী হেলালীকে আটক করা হয়। তাকে রিমান্ডে আনা হবে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার পরিদর্শক (ওসি) এসএম আল মামুন জানান, মাদ্রাসার আভ্যন্তরিন কোন্দলের জেরে পরিকল্পিত ভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে অধ্যক্ষকে হত্যা করা হয়। তদন্তে হত্যার সাথে আহমদ আলী হেলালীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।