যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
ঋতু পরিবর্তনের ফলে আমাদের শরীরের দফরফা অবস্থা। আর এই সময়ে সব থেকে বেশি ভোগায় সর্দি-কাশি। প্রথমদিকে আমরা খুব একটা পাত্তা দিইনা কিন্তু অবহেলার ফলে সামান্য সর্দি-কাশিই হতে পারে মারাত্মক!তবে প্রথমেই ডাক্তারের কাছে গিয়ে গাদা গাদা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন নেই! কারণ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রচুর সাইড-এফেক্ট ধাকে। বরং ঘরোয়া উপায়ে সর্দি-কাশির মোকাবিলা করুন
১। পানিতে কয়েক টুকরো গোলমরিচ দিয়ে ২০ মিনিট জ্বাল দিন। এর সাথে জিরা গুড়ো এবং গুড় মিশিয়ে নিন। এছাড়া অর্ধেকটা পেঁয়াজের সাথে কিছু পরিমাণ গুড় মিশিয়ে নিন। এবার এটি খান। এটি ঠান্ডা, কাশি দূর করে দিতে সাহায্য করবে।
২। ১০-১২টি তুলসি পাতা ভাল করে ধুয়ে নিন। এবার এটি পানিতে জ্বাল দিন। ঠান্ডা হয়ে আসলে পান করুন। তুলসির অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিইনফ্লামেটরী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান সর্দি, ঠান্ডা এবং ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করে দেয়।
৩। ফুটন্ত পানিতে মেন্থল মেশান। এবার মাথায় তোয়ালে চাপা দিয়ে, বড় দম নিয়ে, গরম পানির ভাপ নিন। এভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার করুন। গরম পানির ভাপ নিলে বুকে কফ জমতে পারে না এবং জমলেও সহজেই বের হয়ে আসে।
৪। এক কাপ হালকা গরম পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ও এক চা চামচ মধু মেশান। এই পানীয়টি দিনে ২-৩বার খান। নিয়মিত এক সপ্তাহ খেলে দেখবেন জমা কফের সমস্যা একদম কমে গিয়েছে। কফের সমস্যায় বেশি করে তরল খাবার খেলে উপকার মেলে। সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি ও বিভিন্ন রকমের জুস খান।
৫। ৪-৫টি রসুনের কোয়া কুচি এক চা চামচ ঘিয়ে ভেজে নিন। কুসুম গরম থাকতে এটি খেয়ে ফেলুন। এটি ঠান্ডা কাশিতে দ্রুত মুক্তি দেবে। এছাড়া এটি বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করতে পারেন।
৬। এক চিমটি লবণ, গোলমরিচ এবং আদা কুচি দিয়ে জ্বাল দিন। ভালভাবে জ্বাল হয়ে আসলে ঠান্ডা করে এটি পান করুন। আদা, গোলমরিচ শরীর গরম করে দেয়। যা পেটের সমস্যা দূর করে ঠান্ডা সর্দি দূর করে দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।