পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। ১৯ মে পর্যন্ত মোট সাতটি ধাপে সারা ভারতে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রায় ৯০ কোটি ভোটার এবারের নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন। আজ প্রথম দফায় ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ৯১টি লোকসভা আসনের ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন। ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর ২৩ মে ফলাফল প্রকাশিত হবে। সেদিনই চূড়ান্ত হবে যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কোন দল বা জোট দিল্লীর মসনদে আসীন হয়ে ভারতের ১৩০ কোটিরও বেশি জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। ভারতে এবারের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ পার্টি (ইউপিএ)। এর বাইরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসসহ কিছু আঞ্চলিক দল মোদির বিরোধিতায় একাট্টা হয়েছে। ভারতে মোট ২৯টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল রয়েছে। দেশটির ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজন ২৭২ আসনে বিজয়। ভোটকেন্দ্র থাকবে দশ লাখেরও বেশি। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১১, ১৮, ২৩ ও ২৯ এপ্রিল এবং ৬, ১২ ও ১৯ মে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ২৮২টি আসন। আর বিজেপি জোট তথা এনডিএ সব মিলিয়ে পেয়েছিল ৩৩৪টি আসন। অপরপক্ষে শুধু কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪টি আসন। আর কংগ্রেস জোট তথা ইউপিএ পেয়েছিল ৬০টি আসন। অন্যরা ১৪৯টি। ভারতের আর কোনো নির্বাচনে কংগ্রেস কখনো এত খারাপ ফল করেনি।
আজ যে ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভোট অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হচ্ছেঃ অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা, সিকিম, তেলাঙ্গানা, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপ।
কিছু রাজ্যে ভোট হবে কয়েক ধাপে। এর মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি আসনে, তেলাঙ্গানার ১৭টি আসনে, অরুণাচল প্রদেশের ২টি আসনে, মেঘালয়ের ২টি আসনে, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডের ১টি আসনে, সিকিম, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১টি করে আসনে ভোট হলেই এসব স্থানে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। এবার রাজ্যগুলোর মধ্যে তেলাঙ্গানায় সবচেয়ে বেশি ৪৪৩ জন প্রার্থী লড়াইয়ে নেমেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশে লড়াই করছেন ৩১৯ জন প্রার্থী। এছাড়া মহারাষ্ট্রে ১২২ জন, উত্তরপ্রদেশে ৯৬জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে নিজেদের ভাগ্য যাচাইয়ে নামবেন। এদিকে বাংলায় কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার দুই কেন্দ্রে লড়াইয়ে রয়েছেন ১৮জন প্রার্থী।
ভারতের নির্বাচনে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের ব্যাপক ভ‚মিকা রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, উত্তরপ্রদেশে যে দল বিজয়ী হয় তারাই ভারতে সরকার গঠন করে। জাতীয় রাজনীতিতে এ রাজ্যটি যেমন বেশ প্রভাবশালী তেমনি আবার সামাজিকভাবেও সবচেয়ে বিভক্ত রাজ্যও এটি। এখান থেকে ৮০ জন লোকসভা সদস্য যাবেন ভারতের পার্লামেন্টে। ২০১৪ সালে বিজেপি এখানে ৭১টি আসনে জয়ী হয়। তবে এ রাজ্যে এবার এক হয়েছেন দু’প্রতিদ্ব›দ্বী মায়াবতী ও অখিলেশ যাদব। তারা ৫০টির বেশি আসন পাওয়ার আশা করছেন যার মাধ্যমে দিল্লি জয়ের পথ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বিজেপির জন্য।
পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার পশ্চিমবঙ্গে ৭ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যা নজিরবিহীন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সব কটি আসন পাবার আশা করছে। তবে বিজেপিও এখানে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে এবং আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক আসন পাবার আশা করছে। ২০১৪ সালে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ২টি পেয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৪, সিপিএম ২ ও কংগ্রেস ৪টি আসন।
এবারের নির্বাচনে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজ রাজ্য গুজরাটের কোনো আসন থেকে নির্বাচন না করে উত্তরপ্রদেশের বারানসী আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। আর রাহুল গান্ধী নির্বাচন করবেন দুটি আসন উত্তর প্রদেশের আমেথি ও কেরালার ওয়ানাদ থেকে।
এদিকে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে টাইমস নাউ-এর জনমত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এনডিএ এবার পাবে ২৭৯ আসন। ২০১৪-তে এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬ আসন। এবার এনডিএ-র আসন কমবে ৫৭টি।
২০১৪-র তুলনায় এবার ইউপিএ-র আসন সংখ্যা বাড়ছে। এতে বলা হয়, ইউপিএ এবার পাবে ১৪৯টি আসন। ২০১৪-তে ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৬০টি আসন। এবার তারা ৮৯টি আসন বাড়াতে সক্ষম হবে। আর অন্যরাও ৩২টি আসন কম পাবে।
টাইমস নাউ-এর সমীক্ষা ঠিক হলে আভাস মিলছে যে, নরেন্দ্র মোদি ফের ফিরছেন ক্ষমতায়। দিল্লির কুর্সিতে তিনি আবার বসছেন প্রাধান্য নিয়েই। একইসঙ্গে এবার প্রকৃত বিরোধী হয়ে ফিরছে কংগ্রেস। ইউপিএ জোট এবার ২০১৪-র তুলনায় অনেক ভালো ফল করতে চলেছে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
তবে সোমবার এক বেসরকারি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওসব জনমত সমীক্ষা ম্যানুপুলেট করা যায়। টাকা ফেললেই সমীক্ষা বদলে যায়। কোনো ভিত্তি নেই। বিধানসভা ভোটের আগে তো দেখেছিলেন, রাজ্যে আমাদের হারিয়ে দেয়া হয়েছিল। তারপর বাস্তবে দেখা গিয়েছে কী ফলাফল হয়েছে। আমার স্থির বিশ্বাস, মানুষ মোদি সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
বিশ্লেষকরা বলেন, অনেক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করা নিয়ে অসুবিধায় থাকলেও নরেন্দ্র মোদিই এখন বিজেপির প্রধান ভোট সংগ্রাহক। তার সাথে রয়েছে দলের মধ্যে তার বিশ্বস্ত একটি অংশ, যেমন অমিত শাহ। বিরোধী পক্ষেরও তাই টার্গেট মোদি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই বিজেপি নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছিল। সেটিই ছিলো প্রথমবারের মতো বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া। এ বিশাল জয়ের কৃতিত্ব যায় মোদির ঘরে।
তারা বলেন, মোদি সরকারের সময়ে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত কিছুটা গতি হারিয়েছে। শস্যের দাম পড়ে যাওয়ার ঘটনা কৃষকদের দারুণ ক্ষুব্ধ করেছে। ২০১৬ সালের নোট নিষিদ্ধ করার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আর সার্ভিস ট্যাক্স ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। ভাটা এসেছে রপ্তানি আয়েও। তাই বেড়েছে বেকারত্ব। ঋণের দায়ে কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ডুবতে বসেছে। অথচ ভারতের জিডিপি অন্তত ৭ শতাংশ হারে বাড়া প্রয়োজন। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, অর্থনীতিতে সংস্কারের কাজ চলছে। তার সরকার সরাসরি কৃষকদের ঋণ বা ঋণ মওকুফ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। পিছিয়ে পড়াদের জন্য চাকুরীতে কোটার কথাও বলছেন তিনি। তবে নির্বাচনেই প্রমাণ হবে যে সেটি করার সময় তিনি আর পাবেন কিনা।
তবে বলা হচ্ছে যে ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা ঘটনার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে বিমান হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে মোদি বহু ভোটারের মন জয় করে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। তাছাড়া দেশের সাড়ে ৮ কোটি তরুণ ভোটারের সমর্থন লাভ করা তার লক্ষ্য।
অন্যদিকে এবার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, যে দলের হাত ধরে ভারতের স্বাধীনতা এসেছিল সেই ১৩৩ বছরের পুরনো রাজনৈতিক দল ও বহু বছর রাষ্ট্র শাসনকারী কংগ্রেস কি ফিরে আসতে পারবে ক্ষমতায়? ২০১৪ সালের নির্বাচনে শোচনীয় হার মানতে হয় তাদের। সে নির্বাচনে মাত্র ৪৪টি আসন পেয়েছিল তারা। পরের চার বছরে অনেক রাজ্য নির্বাচনেও হেরেছে তারা। তবে গত ডিসেম্বর থেকে দলটি শক্তি পুনরুদ্ধারের দিকে যেতে পেরেছে বলে মনে হয়েছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে উপর্যুপরি ব্যর্থতার পর সম্প্রতি কংগ্রেস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে জয় পেয়েছে। তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেছেন। যদিও তিনি এবার নির্বাচনে দাঁড়াননি, কিন্তু তার রাজনীতিতে আগমন অনেককেই উৎসাহিত করেছে। রাহুল গান্ধী তার দল জিতলে গরীবদের একটি ন্যূনতম আয়ের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। সমালোচকরা মনে করেন, মোদীর হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ভারতকে বিভক্ত করেছে, যদিও তার সমর্থকরা এতে বেজায় খুশি। অন্যদিকে ভারতের ১৭ কোটির মতো মুসলিমের অনেকেই মনে করেন যে, মোদি সরকারের আমলে তারা অদৃশ্য সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিজেপির কোনো মুসলিম এমপি নেই। ২০১৪ সালে দলটি ৭ জন মুসলিমকে প্রার্থী করে। কিন্তু তারা সবাই পরাজিত হন।
এদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, দেশ জুড়ে ১০ লাখ পোলিং স্টেশনে থাকবে ভিভিপ্যাট। ইভিএম ব্যালট পেপারে থাকবে প্রার্থীদের ছবি। ইভিএম স্থানান্তরিত করার সময় শেষ এক কিলোমিটার জিপিএস ব্যবহার করে ট্র্যাক করা হবে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য দেশ জুড়েই মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রার্থীদের অর্থব্যয় নিয়েও এবারের নিয়ম বেশ কিছুটা কড়া করেছে কমিশন। গুগল, টুইটার, ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের খরচের বিশদ বিবরণ উল্লেখ করতে হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে এবং তা ধরা হবে নির্বাচনী খরচের মধ্যেই। এছাড়া নির্বাচনী অথবা রাজনৈতিক প্রচারে প্রতিরক্ষা দফতরের কোনো কর্মীর ছবি ব্যবহার করা যাবে না।
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশ জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ছত্তিশগড় রাজ্যে নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রায় ৮০ হাজার সেনা, পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হামলার কারণে সময়সূচির কোনো পরিবর্তন হবে না।
আটকে গেল ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’
ভোটের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গতকাল বুধবার এই ছবির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নির্বাচন কমিশন বলছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করে; এমন কারো জীবনী নিয়ে তৈরি বায়োপিক নির্বাচনের সময় কোনো গণমাধ্যমে প্রদর্শন করা উচিত নয়।
দেশটির ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ছবিটির মুক্তির মাত্র একদিন আগে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো। বৃহস্পতিবার ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। প্রথম দফার ভোটের দিনে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও এতে বাগড়া দিলো নির্বাচন কমিশন।
মোদির জীবনী নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের মুক্তি স্থগিতের দাবিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন বিরোধীদল কংগ্রেসের একজন কর্মী। গত মঙ্গলবার তার ওই পিটিশন খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানান, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার যথাযথ কর্তৃপক্ষ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
আনন্দবাজার বলছে, সামান্য এক চা দোকানী থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার এই জীবনযাত্রা বায়োপিক ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র বিষয়বস্তু। এতে মোদির ভ‚মিকায় অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা বিবেক ওবেরয়।
ছবির বেশির ভাগ অংশের শুটিং হয়েছে গুজরাট, হিমাচল এবং রাজধানী নয়াদিল্লিতে। কিন্তু ছবিটির নির্মাণ কাজের স‚চনা থেকেই ভোটের সময় মুক্তি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ছবিটির মুক্তি আটকে গেল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।