চলতি বছর জুনে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো প্রতিযোগিতা কোপা আমেরিকার ৪৬তম আসর বসছে ব্রাজিলে। প্রতি চার বছর পর পর এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরের বছর (২০২০ সালে) আরেকটি আসর বসতে যাচ্ছে। গত মাসে মিয়ামিতে কোপা আমেরিকার ৪৭তম আসরের আয়োজক দেশ বেছে নিতে আলোচনায় বসে কনমেবল। অবশেষে কনমেবল থেকে অফিসিয়ালি ঘোষণা আসলো।

দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা সৃষ্টির লক্ষ্যে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার করা যৌথ আবেদনে সাড়া দেন তারা। ইউরোপিয়ান ফুটবলের সময়সূচির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ২০২০ সালে কোপা আয়োজন করছে কনমেবল।

ব্রাজিলের এ আসরটিই হতে যাচ্ছে বেজোড় বছরের শেষ আসর। আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়ায় ৪৭তম আসরটি হবে গত ছয় বছরের মধ্যে চতুর্থ আসর। কোপা আমেরিকায় সাধারণত দক্ষিণ আমেরিকার দশ দলের সঙ্গে কমপক্ষে দুইটি আমন্ত্রিত দল অংশ নেয়। ২০২০ সালের আসরে ১৬ দলের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও সেটি থেকে পিছিয়ে এসেছে কনমেবল। আগের মতো ১২ দল নিয়ে আয়োজন হবে ২০২০ কোপা আমেরিকা।

নর্থ এবং সাউথ এই দুই গ্রæপে ভাগ হয়ে খেলবে ১২টি দেশ। প্রতিটি গ্রæপে থাকবে ৬টি দল। পুরো টুর্নামেন্টে খেলা হবে ৩৮টি ম্যাচ। এখনকার কোপা আমেরিকার থেকে ১২টি বেশি। কনমেবলের প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো ডোমিনগুয়েজ জানিয়েছেন, দক্ষিণ আমেরিকানদের জন্য এটি হতে যাচ্ছে নতুন এক অভিজ্ঞতা। ভক্ত-সমর্থকরা নিজ দেশের কমপক্ষে পাঁচটি করে ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন। দুই গ্রæপ থেকে চারটি করে দল ফাইনাল স্টেজে উঠবে। সেখান থেকে হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। এরপর সেমি ফাইনাল গড়িয়ে দুই দল উঠবে ফাইনালে।

সেমিফাইনালের একটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দুই দেশেই। আর ফাইনাল ম্যাচটি হবে আর্জেন্টিনায়। নর্থ গ্রæপে আপাতত রাখা হয়েছে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, পেরু এবং আমন্ত্রিত একটি দেশকে। আর সাউথ গ্রæপে রাখা হয়েছে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, চিলি, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে আর আমন্ত্রিত অন্য একটি দেশকে।

আর্জেন্টিনা সবশেষ কোপা আমেরিকার আয়োজক ছিল ২০১১ সালে। সেবার প্যারাগুয়েকে হারিয়ে ১৫তম শিরোপা জিতেছিল উরুগুয়ে। আর ২০০১ সালে কোপা আমেরিকার আয়োজক ছিল কলম্বিয়া। সেবার মেক্সিকোকে হারিয়ে নিজেদের মাঠে প্রথম কোপার শিরোপা জিতেছিল স্বাগতিক কলম্বিয়া। ২০২০ সালের কোপা আমেরিকার আয়োজন করতে আগ্রহী ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে মিয়ামিতে কনমেবল কর্মকর্তাদের বৈঠকে ট্রাম্পের দেশের এই প্রস্তাব বাতিল করে দেয়া হয়। দর্শকদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কনমেবল।