Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারান্তরীণ ভোটারের স্বাক্ষরে ফাঁসলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুসা

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

মো. শামসুল আলম খান | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

কারান্তরীণ এক ভোটারের স্বাক্ষর জাল করে ফেঁসে গেছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু মুসা সরকার। ভয়াবহ এমন প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও মসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান।
গতকাল (বুধবার) দুপুরে জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসন্ন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে শুধু ওই ভোটারই নন আরো দুই জন ভোটারের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা করেছেন এই প্রার্থী। আবু মুসা সরকার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির নেতা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু মুসা সরকারের মতোই আরো দুই প্রার্থী শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল ও বিশ্বজিৎ ভাদুরীও প্রার্থীতা খুইয়েছেন একই অভিযোগ। তারাও তিনজন করে ভোটারের স্বাক্ষর জাল করে ফেঁসে গিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিলের মুখে পড়েছেন।
তবে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ইকরামুল হক টিটু ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আহমেদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও মসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান মনোনয়নপত্র বৈধ এবং অবৈধের এসব বিষয়টি জানান।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী আবু মুসা সরকার। এজন্য তার পক্ষে ৩শ’ জন ভোটারের স্বাক্ষর দেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু তার দেওয়া তালিকা মোতাবেক ৫ জনের স্বাক্ষর যাচাই বাছাই করা হয়।
২ জন ভোটার স্বাক্ষর দিয়েছেন এবং বাকী ২ জন স্বাক্ষর দেয়নি বলে প্রমাণ হয়েছে। পাশাপাশি রফিকুল ইসলাম নামে আরেকজন ভোটার দুই মাস যাবত কারাগারে থাকা স্বত্তে¡ও তার স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। ফলে এসব ভোটারদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
প্রায় একই রকম অভিযোগ প্রমাণিত হয় আরেক প্রার্থী শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডলের বেলায়। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণখেলাপী হওয়ার পাশাপাশি ৩ জন ভোটারের স্বাক্ষর জাল করে ব্যবহার করেছেন। ফলে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। জাল স্বাক্ষরের জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ভাদুরীরও।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু মুসা সরকার ও বিশ্বজিৎ ভাদুরীকে অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করতে আধা ঘন্টা সময় দেন। কিন্তু তারা স্বাক্ষর জাল করা ভোটারদের এই সময়ে তাদের সামনে উপস্থিত করতে পারেননি।
এর আগে উৎসব মুখর পরিবেশে সোমবার (৮ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মেয়র পদে ৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
৩৩ টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১ টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে যথাক্রমে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২শ’ ৫৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৭১ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের কোন তথ্য দেয়নি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আগামী ৫ মে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮ জন। ১শ’ ২৭ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোট হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ