বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোদাগাড়ী উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের নদ-নদী, পুকুর ডোবা খাল বিল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এসব এলাকা থেকে গত ২ দশকে প্রায় ৬৫ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক উৎসের মাছ কমে গেলেও হাইব্রিড মাছের উৎপাদন বেড়ে গেছে। ফলে দেশীয় আরো শতাধিক প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব এখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদেশী মাত্র ২৪ প্রজাতির হাইব্রিড মাছ চাষের ব্যাপকতায় দেশীয় আড়াই শতাধিক প্রজাতির মাছ অস্তিত্বের হুমকিতে পড়েছে। কৃষি জমিতে ব্যাপক হারে কীটনাশক ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় ওই সব কীটনাশক বৃষ্টির অতিরিক্ত পানির কারণে খাল, বিল ডোবা পুকুর নদী-নালা, জলাশয়ের পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে খাল-বিল, জলাশয়ের স্বচ্ছ পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ে। আর বিষাক্ত পানির কারণে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন মাছ চাষ হচ্ছে। ফলে এসব মাছ চাষের আগে পুকুর ডোবার পানিতে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোয় মাছ, শামুক ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর প্রজননক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, অধিক মুনাফার আশায় হাইব্রিড মাছের চাষ করতে গিয়ে জলাশয়গুলো থেকে দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ঘটানো হয়েছে। এক সময়ের অতি পরিচিত দেশী প্রজাতির মাছ বিশেষ করে পুটি, সরল পুটি, মাগুর, ট্যাংরা, চাপিলা, শিং, পাবদা, টাকি, রুই, কাতল, মৃগেল, চিতল, রিটা, গুজি আইড়, বাঁশ পাতা, পাবদা, চেলি, পাঙ্গাশ, কৈ, বোয়াল, খৈলসার মতো সুস্বাদু দেশীয় মাছগুলো এখন আর তেমন দেখা যায় না। প্রায় ৬৫ প্রজাতির মাছ নদ-নদীতে পাওয়া যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে এসব মাছ আজ বিলুপ্তির পথে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ীতে প্রায় ৪ হাজার ৫শ টি খাস পুকুর রয়েছে। এছাড়াও বিল, জলাধার পদ্মা ও মাহানন্দা নদী রয়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন মৎস্য বলেন, ঢালাওভাবে খাস পুকুর গুলি লিজ দেয়া, মেয়াদ শেষে এক ধরণের বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেওে ফেলার কারণে দেশী মাছ দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশীয় মাছ হারিয়ে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পানি স্বল্পতা, যেখানে সেখানে বাঁধ নির্মাণ, নাব্যতা হারানো, পলি জমে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া, কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার, মাছের নিরাপদ আশ্রয় স্থল না থাকা ও প্রজননত্রে সঙ্কুচিত হওয়া, খরা ও অনাবৃষ্টি, জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাছের বংশ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নদীতে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ না থাকায়ও প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা এসব মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।