পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথমদফা শুরুর আগে, শেষমুহূর্তের প্রচারে ঝড় তুলতে গতকাল রোববার কোচবিহারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মাত্র চার দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে জোড়া সভা করে গিয়েছেন তিনি। তার পর আবার কোচবিহারে এই সভা করাতেই বোঝা যায়, বাংলাকে এবার তিনি কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন। এদিকে একইদিন ময়নাগুড়িতে জনসভা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায়। রোববার মোদি যে মাঠে সভা করে গেলেন, ওই মাঠেই আজ সোমবার জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদিও। কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে নির্বাচনী সভায় সারদা, নারদ এবং রোজভ্যালি কান্ড নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি তোপ দাগেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার উন্নয়নের পথে ‘স্পিড ব্রেকার’ বলে উল্লেখ করেন। পিসি-ভাইপোর রাজত্বে বাংলা অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেন মোদি। এ দিন নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ তোলেন, ‘সাধারণ মানুষকে সভায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তা সত্তে¡ও মানুষ যে ভালবাসা দেখিয়েছেন তাতে আমি অভিভ‚ত। মঞ্চের জন্য রাজ্য প্রশাসন যে জায়গা দিয়েছে, তাতে বেশি লোক ধরবে না। এ ভাবে বাচ্চাদের মতো আচরণ করে নির্বাচন জেতা যায় না। বরং বাধা সত্তে¡ও এত মানুষ যে ভিড় জমিয়েছেন, এটাই দিদির পরাজয়ের পরিচয়।’
এদিকে, ফালাকাটার জনসভা থেকে মমতা বলেন, ‘বিজেপির আমলে ২ কোটি লোক বেকার হয়েছে। একজনকেও চাকরি দিতে পারেনি। এখন টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন মোদি।’ কেন্দ্রে এবার সরকার গড়বে বাংলাই। তাই বাংলায় ৪২-এ ৪২ চাই, বললেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মোদীবাবু আপনি বলছেন দিদি ভয় পেয়েছে। দিদির সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত। দিদি গুলি খেয়ে লড়াই করতে জানে। দিদি ভয় পায় না। আপনাকে কেন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভোটে দেবে? গত পাঁচ বছরে বাংলাকে আপনি কী দিয়েছেন? বাংলার নামটা পর্যন্ত আটকে রেখেছেন। ‘জলপাইগুড়িতে যখন বন্যা হয়েছিল, তখন খোঁজ নিয়েছিলেন? এখন ভোট চাইতে লজ্জা করে না?’ মোদিকে সরাসরি আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি, এত নিম্নমানের ভাষা, এত নিম্নমানের রুচির প্রধানমন্ত্রী আর দেখিনি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।