পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় পেলেও পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রার্থী। কিন্তু পরাজিত হয়েও এমপি হবার আশা ছাড়ছেন না দলের সেই ৬ প্রার্থী। তাদের সামনেও মিটিমিটি করে জ্বলছে এমপি হবার আশার আলো। বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের বিজয়ী এমপিরা শপথ না নিলে আবারও নির্বাচনের সুযোগ পাবেন আওয়ামী লীগের সেই প্রার্থীরা। তাতে হতে পারেন এমপি। তাই বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এমপিরা শপথ না নিলে তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত নির্বাচনে বিএনপির ৬ জন এবং গণফোরামের ২ জন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ মার্চ মৌলভীবাজার-২ আসনে ধানের শীষে জয়ী হওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুর শপথ নিয়েছেন। আর গতকাল বিএনপি সমর্থিত ‘উদীয়মান সূর্য’ প্রতীকে সিলেট-২ আসনের এমপি গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান শপথ নিয়েছেন। জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে ৩০ জানুয়ারি। এ হিসেবে ইতোমধ্যে ৬৬ দিন পার হয়েছে। ৯০ দিন হতে বাকি ২৪ দিন। এখনো শপথ নেননি বিএনপির ৬ এমপি। বিএনপির শপথ না নেয়া এমপিরা হলেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনে মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে হারুনুর রশিদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুস সাত্তার ভূঞা। নির্বাচনের পরপরই বিএনপি জানিয়েছে, তাদের জয়ী হওয়া দলের এমপিরা শপথ নেবেন না। কিন্তু তাদের নির্বাচনী জোট জাতীয় এক্যফ্রন্টের ২ জন এমপি শপথ নিয়েছেন।
সংসদ সচিবালয় আরো জানায়, নির্বাচন কমিশনের গেজেটে যাদের নাম থাকে সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন থেকে পরবর্তী ৯০ দিন পর্যন্ত তাদের ‘স্ট্যাটাস’ এমপি। তবে এমপিরা যখন শপথ নেবেন, তখন থেকে এটি কার্যকর হবে। এর আগে তারা বেতন-ভাতাও পাবেন না।
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধানের ৬৭ (১) অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে, যদি (ক) তার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হন।
এদিকে সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানের শপথ গ্রহণে আওয়ামী লীগের পরাজিত দুই প্রার্থী আশাহত হলেও এখনো সুযোগ রয়েছে পরাজিত ছয় প্রার্থীর। এমপি হবার আশার আলো এখনো জ্বলছে মিটিমিটি করে। বিএনপির জয়ী এমপিরা শপথ না নিলে আবারও নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার সুযোগ পাবেন সেই প্রার্থীরা।
আওয়ামী লীগের আশাহত না হওয়া পরাজিত প্রার্থীরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মু. জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে মো. আব্দুল ওদুদ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমদাদুল হক, বগুড়া-৪ আসনে জাসদ (ইনু)-এর রেজাউল করিম তানসেন, বগুড়া-৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল ইসলাম ওমর।
সূত্র জানায়, এসব প্রার্থী তাদের আশপাশের নেতাকর্মীদের নতুন করে প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলছেন। এ বিষয়ে উক্ত সকল প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। শুধুমাত্র একজন প্রার্থী ইনকিলাবকে বলেছেন, ‘দেখা যাক কী হয়, দোয়া করবেন।’
এদিকে আওয়ামী সূত্র জানায়, কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলে বা কোনো কারণে নির্বাচন পেছানো হলে দলের মনোনয়ন বোর্ড নতুন করে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। এক্ষেত্রে পুরনো মনোনয়ন পেয়েছেন এমন প্রার্থীই পেতে পারেন বা নতুন প্রার্থীকেও মনোনয়ন দেয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পর্যায়ের একজন নেতা ইনকিলাবকে বলেন, যদি বিএনপি সংসদে না আসে এবং নতুন করে নির্বাচন হয় তাহলে মহাজোটের যারা গতবার মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাদের এবার মনোনয়ন না দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।