পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে বিল্ডিংকোড লঙ্ঘন ও প্ল্যান বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) কর্তৃপক্ষ। তিন বছর আগে কুসিকের লাল তালিকাভুক্ত এধরণের ৩৩ ভবনের সাথে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে আরও অন্তত ৫০টির বেশি ভবন। এসব ভবন নির্মাণে বিল্ডিংকোড লঙ্ঘন ও প্ল্যানের নির্ধারিতের চেয়ে উপরের দিকে অতিরিক্ত ফ্লোর গড়ে তোলা এবং বেইজমেন্টে পাকিং ব্যবস্থা বন্ধ করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালুসহ অগ্নিনির্বাপনেরও ব্যবস্থাও রাখেনি। সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম নির্মাণাধীন ৯টি ভবন সিলগালাসহ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বিল্ডিংকোড লঙ্ঘন ও প্ল্যান বহির্ভূত এধরণের বেশকিছু ভবন মালিককে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আজ রোববারের মধ্যে নোটিশের জবাব দিয়ে ১৫দিনের মধ্যে ভবনগুলোর সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বহুতল ভবন নির্মাণের আগে নকশায় উল্লেখ ছিল বেইজমেন্টে গাড়ি পাকিং ব্যবস্থা থাকবে। আর নির্ধারিত ফ্লোর অনুযায়িই ভবন নির্মিত হবে। থাকবে অগ্নিনির্বাপনসহ বিল্ডিংকোডের সকল বিধিবিধান। কিন্তু কাগজে কলমে সব ঠিক থাকলেও বাস্তবে মিলছে ভবনের ভিন্নরূপ। বছর তিনেক আগে মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর নির্দেশে সার্ভেয়ার শাখার লোকজন দুইদফায় ৩৩টি ভবন অবৈধ হিসেবে লাল তালিকাভূক্ত করেন।
এসব ভবন মালিকদের কয়েক দফা নোটিশও দেয়া হয়। কিন্তু ভবন মালিকদের দুই/তিনজন ছাড়া বাকিরা নোটিশের তোয়াক্কাই করেনি। এরপর এসব বিষয়ে আর নড়েচড়েনি কুসিক কর্তৃপক্ষ। তিনবছর পর এধরণের ভবনের সংখ্যা প্রায় ৮৫ থেকে ৯০টিতে দাঁড়িয়েছে বলে স্বীকার করেন সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী অনুপম বড়ুয়া, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জনি রায়, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৗশলী শেখ মোহাম্মদ নুরুল্লাহ, সার্ভেয়ার মাকসুদ হোসেন, আবুল কাশেমসহ একটি টিম নগরীতে অভিযান পরিচালনা করে নকশা বহির্ভূত ও বিল্ডিংকোড না মেনে অবৈধ ভবন নির্মাণের অভিযোগে নয়টি ভবন সিলগালা ও নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
সিলগালা করে দেয়া ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা নজরুল এভিনিউ সড়কে অবস্থিত ট্রমা হাসপাতাল, নগর ভবনের পশ্চিম পাশে গোল্ড সিলভার হোমসের নির্মাণাধীন আবুল বাশার গংদের বহুতল ভবন, ঠাকুরপাড়া মদিনা মসজিদ রোড এলাকার জাহানারা তাহের প্যালেস, ডা. জসিম উদ্দিনের ৯তলা ভবন কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালের পাশে রেজাউল করিমের মালিকানাধীন আঙ্গুর টাওয়ারসহ মোট ৯টি ভবন।
কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নকশা বহির্ভূত এবং বিল্ডিংকোড না মানা এবং পর্যাপ্ত পার্কিংব্যবস্থা না রেখে ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে চিহ্নিত ভবন মালিকদের একাধিকবার নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কুসিকের নোটিশের জবাব দেয়নি। রাজধানীর বনানীসহ বেশকটি অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর আমাদেরকেও সতর্ক হওয়া দরকার। তাই আর ছাড় না।
নগরীতে ৮০/৯০টি ভবন রয়েছে যেগুলো নকশা বহির্ভূত, বেশির ভাগেরই নেই অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, পার্কিং ব্যবস্থা। এবারে নোটিশ অনুযায়ী রোববারের মধ্যে নোটিশের জবাব দিয়ে পরবর্তী ১৫দিনের মধ্যে ভবন ভেঙে সমস্যা সমাধান না করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়ে ভবন ভেঙে ফেলবো। কেবল তাই নয়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থ, কারাদন্ডের ব্যবস্থা রাখা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।