ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের শেখ শাহরিয়ার পারভেজ শাওন নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন একই ব্যাচের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী। এতে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মারধরকারী বলেছেন, ‘বন্ধুদের সাথে কথা বলেছি- তারা বলেছে মারের বদলে মার হবে। যার প্রেক্ষিতে আজ আমরা ২০-২৫ জন তাকে নতুনকলার সামনে পেয়ে মারধর করেছি।’ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুনকলা ভবনের সামনে মারধরের ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ক্লাস শেষ করে নতুন কলা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাহরিয়ার পারভেজ। এ সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এস এইচ পিয়াস, সাকলাইন সাকিব, মিশাত, বাংলা বিভাগের সমরেশ, ইমরানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী অতর্কিত তাঁর ওপর হামলা করেন। এতে আহত হন শাহরিয়ার পারভেজ। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাভারের একটি হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মারধরের শিকার শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, ‘গত সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাই। বন্ধুকে বিভাগে না পেয়ে সেখান থেকে ফিরে আসছিলাম। এসময় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এস এইচ পিয়াস আমাকে পেছন থেকে ডেকে পরিচয় দিতে বলেন। পিয়াস নিজেকে ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে আমাকে পরিচয় দেওয়ার জন্য জোর করেন। আমার শার্টের কলার ধরে মারতে আসে। পরে তার কথা না শুনে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি আমি।’ এই ঘটনার জের ধরে আজ তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শাহরিয়ার পারভেজ শাওন।
এ বিষয়ে মারধরকারী এস এইচ পিয়াস বলেন, ‘শাহরিয়ার আমাদের ডির্পাটমেন্টে এসে কাউকে খুঁজতেছিলো। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি- কাকে খুঁজছে? তখন সে আমাকে সালাম দিলে আমি বলি তুই নিজে ৪৮ হয়ে আমাকে সালাম দিস কেন। তোর পরিচয় দে। সে পরিচয় না দিয়ে চলে যায়। আমি মজা করেছিলাম। কিন্তু গত পরশু আমাকে টিএসসিতে দেখে সেখান থেকে সে সহ আরো কয়েকজন আমাকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর সামনে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। আমি বিস্তারিত বিষয় আমার হলের বড় ভাইদের জানাই। তখন তারা বলে মারের বদলে মার হবে। যার প্রেক্ষিতে আজ আমরা ২০-২৫ জন তাকে নতুনকলার সামনে পেয়ে মারধর করেছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়ে আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আগে যদি পিয়াসকে মারধর করে থাকে তাহলে তারা আমাদেরকে জানাতে পারতো। তা না করে নিজেরাই মারধর করে অপরাধ করেছে। আমরা ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।