যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
ফোস্কা পরলে দগদগে ঘা হয়ে যায়৷ আর তাতে সেই জায়গাটা জ্বলতে থাকে। এই ফোসকা বেশ কিছুদিন ভোগায়। বিশেষ করে ফোসকা ফেটে গেলে অসহ্য জ্বলুনির সৃষ্টি করে যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আজকে জেনে নিন ফোসকার এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাওয়ার দারুণ কার্যকরী কিছু উপায়।
১। খুব সহজ ঘরোয়া সমাধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টুথপেস্টের ব্যবহার। ফোসকা পড়া স্থানে যতো দ্রুত সম্ভব টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এতে করে ফুলে উঠা এবং ফোসকার ভেতরের পানি খুব সহজেই কমে যাবে এবং এতে জ্বলুনিও কমে আসবে অনেক।
২। নতুন জুতো পরার আগে পায়ে ভালো করে নারকেল তেল লাগিয়ে নিন৷ এতে আপনার পা স্লিপারি হয়ে যাবে ঠিকই কিন্তু ফোসকা আর পরবে না৷ আর ফোস্কা পরে গেলে তেল লাগিয়ে তারপরই জুতো পরুন৷ তাতেও ফোসকা সেরে যাবে৷
৩। ফোসকা পড়া স্থানে দ্রুত ডিমের সাদা অংশ লাগিয়ে নিলে ফোসকার সমস্যা থেকে অনেক ভালো রেহাই পাওয়া যায়। অনেক সময় দ্রুত ডিমের ব্যবহারে চামড়ায় ফোসকাই পড়ে না।
৪। চালের গুড়ো দিয়ে ফোসকার দাগ তোলা যায়৷ দুই চামচ চালের গুড়োর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে মিশ্রণটি ফোসকায় লাগান৷ শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷
৫। ফোসকা পরা জায়গাটায় বারবার মধু লাগিয়ে ঘষতে থাকুন৷ খুব দ্রুত ফোসকা শুকিয়ে যাবে৷
৬। এক চামচ কর্পূরের সঙ্গে খানিকটা নারকেল তেল মিশিয়ে আপনার পায়ের ফোসকায় লাগিয়ে দিন৷ প্রতিদিন এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন৷ এতে আপনার ফোসকা সারবে৷ জ্বালাও করবে না৷
৭। ফোসকা পড়া সমস্যার আরেকটি সহজ সমাধান হচ্ছে ডিওডোরেন্টের ব্যবহার। স্প্রে ডিওডোরেন্ট নয় ডিও রোল অন ধরণের ডিওডরেন্ট ফোসকার উপরে লাগিয়ে নিলে অনেকটা উপশম হবে বেশ দ্রুত।
৮। গ্রিন টীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান খুব দ্রুত ফোলা কমাতে এবং প্রদাহ বন্ধ করতে সহায়তা করে। যদি হাতের কাছে গ্রিন টি না থাকে তাহলে ব্ল্যাক টি দিয়েও কাজ চালাতে পারেন। এতেও ভালো ফল পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।