Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

স্বল্প পুঁজি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর ডিএনসিসি কাঁচা বাজার ও সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে সর্বস্ব হারানো কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতো শুরু করেছেন। মার্কেটের সামনের সরু রাস্তায় অল্প পুঁজি দিয়ে মাল কিনেই ব্যবসা শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের অনেকে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রোকারিজ, শিশু পণ্যসহ অন্য সব ব্যবসায়ীদের ভাসমান অবস্থায় পণ্য সাজানো বা বিক্রির সুযোগ নেই, তাই মার্কেট সংস্কার করা না পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই তাদের। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাঁচামাল বিক্রেতাদের নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি চোখে পড়েছে।
সরেজমিনকালে দেখা গেছে, পুড়ে যাওয়া মার্কেটের পাশের সরু গলিতে কাঁচামালের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ৮-১০ জন ব্যবসায়ী। তবে আগের মতো অনেক ধরণের পণ্য নিয়ে নয়, খুব সামান্য পরিমাণে পণ্য নিয়ে তারা সেখানে নতুন করে দাকান শুরু করেছেন। আগের তুলনায় ক্রেতাদেরও উপস্থিতিও ছিল অনেক কম। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আশাবাদী। ব্যবসায়ীরা জানান, পেটের ক্ষুদার তাগিদেই অল্প টাকার মাল কিনে ভাসমান অবস্থায় আবার ব্যবসা শুরু করেছেন। আগুনে পোড়ার দু’দিন পর গতকাল থকে প্রথমদিনের মতো মাল নিয়ে বসেছেন। তবে ক্রেতা তেমন আসছেন না বলে তারা জানান। ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মার্কেটের ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, তার দোকানের নাম ছিল মেসার্স আল আমিন ভেজিটেবল স্টোর। নতুন দোকানের বিকিকিনি কেমন চলছে জানতে চাইলে আল আমিনের সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়ে বলেন, বসলাম মাত্র, দেখি কাস্টমার আসে কিনা। যে ক’জনই আসে, তা-ই লাভ। সংসারতো চালাতে হবে।
আরেক কাঁচামাল ব্যবসায়ী আবুল বাশার বলেন, যা ক্ষতি হওয়ার তো হয়ে গেছে, এখন ঘুরে দাঁড়াতে হবে। যার কারণে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে নতুন করে দোকান চালু করেছেন। এই ব্যবসায়ী বলেন, আগুনে সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে চেষ্টা শুরু করেছেন।
মার্কেটের সামনে কাচাঁমালের পাশাপাশি ফল নিয়ে বসেছেন মো. ইয়াছিন। তিনিও পুড়ে যাওয়া ডিএনসিসি কাঁচা মার্কেটে ফলের ব্যবসা করতেন। ফ্রুট শপের স্বত্বাধিকারী এই ব্যবসায়ী বলেন, আগুনে দোকানের সব মালামাল পুড়ে গেছে। এখন খুব অল্প মাল এনেছি। পুঁজির অভাব থাকায় কম টাকা দিয়েই শুরু করতে হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যবসায়ী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ