পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমাতে সবরকম তামাকের মূল্য ও কর বৃদ্ধি জরুরি। সোমবার (১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে ‘তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ও অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো‘র ফোকাল পার্সন ড. রুমানা হক। অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, দি ইউনিয়নের কারিগরী পরামর্শক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি‘র প্রকল্প পরিচালক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট‘র পরিচালক গাউস পিয়ারী।
মো.হাবিবুর রহমান খান বলেন, তামাকের চাহিদা কমাতে অবশ্যই তামাকের উপর কর বাড়াতে হবে এবং সহায়ক আরো অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার সপ্ন বাস্তবায়নে একটি রোডম্যাপ তৈরীতে কাজ করছে। সহায়ক আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের পাশাপাশি এক্ষেত্রে সকলের একান্ত সহযোগিতা আমরা প্রত্যাশা করছি।
ড. রুমানা হক মূল প্রবন্ধে বলেন, জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও তামাক নিয়ন্ত্রণে তামাকজাত পণ্যের উপর কর বৃদ্ধি অত্যন্ত কার্যকর একটি পন্থা। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সকল ধরনের তামাক পণ্যের ভিত্তিমূল্য বৃদ্ধি এবং সুনিদিষ্ট কর আরোপ করে জনগনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের কর কাঠামো খুবই দূর্বল এবং পার্শবর্তী দেশের তুলনায় অনেক কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।