পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে নিযুক্ত হাইকমিশনার সোহেল মাহমুদকে দেশের নতুন পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি গতকাল রোববার একথা ঘোষণা করেছেন। মুলতানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কুরেশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনা করে মাহমুদকে পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
১৬ এপ্রিল পররাষ্ট্র সচিব তাহমিনা জানজুয়া অবসরে যাবেন উল্লেখ করে কুরেশি বলেন, মাহমুদ তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন এবং অনেক সাহায্য পেয়েছেন। তিনি তার সেবা করার জন্য জানজুকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক বিষয়াবলীতে কঠিন চ্যালেঞ্জ এসেছিল, কিন্তু তিনি সাহস, বীরত্ব, স্বচ্ছতা এবং হাসি মনে সবকিছু পরিচালনা করতেন।’
তিনি শনিবার টেলিফোনে মাহমুদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তার নতুন নিয়োগের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কুরেশি বলেন, ‘মাহমুদ একজন মর্যাদাপূর্ণ সিনিয়র ক‚টনীতিক, তিনি সততার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি পূর্বে ওয়াশিংটন, নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্থানে সেবা করেছেন এবং থাইল্যান্ড ও তুরস্কে পাকিস্তানী দূত ছিলেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি পুলওয়ামা ঘটনার পরও তিনি আলোচনায় সদর দফতরে এসেছিলেন এবং তার অভিজ্ঞতা থেকে আমি উপকৃত হয়েছি’।
কুরেশি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, মাহমুদ পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, তিনি দেশের চাহিদার পাশাপাশি পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফের পছন্দের বৈদেশিক বিষয়গুলো পূরণ করবেন’।
মাহমুদ রাওয়ালপিন্ডির সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ইসলামাবাদে কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এবং নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৮৫ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিভাগে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (মোফা)-এ মাহমুদ অতিরিক্ত সচিব হিসেবে আফগানিস্তান/পশ্চিম এশিয়ার এবং পররাষ্ট্র সচিবের আমেরিকা কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে থাইল্যান্ড ও তুরস্কে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার ভ‚মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী মিশন এবং ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।