Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারাগারে চিকিৎসা পাচ্ছেন না ক্রাইস্টচার্চের হামলাকারী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৯, ৩:৫৩ পিএম

নিউজিল্যান্ডের কারাগারে চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেছেন ক্রাইস্টচার্চ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্রেন্টন ট্যারান্ট। ২৮ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলীয় নাগরিককে একসঙ্গে ৫০ মুসুল্লিকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হবে। রোববার দেশটির সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট স্টাফের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে কঠোর কারাগারগুলোর মধ্যে একটি পারেমোরেমোর অকল্যান্ড জেলখানায় তাকে সবার থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। আর সেখানেই নাকি তাকে প্রয়োজনীয় কোনো চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে না।
স্টাফের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, অভিযুক্ত ব্রেন্টন জানিয়েছেন যে তাকে কোনো দর্শনার্থীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি কোনো ফোনও করতে দেওয়া হচ্ছে না। এর আগে হামলার পরদিন ১৬ই মার্চ ব্রেন্টনকে ক্রাইস্টচার্চের আদালতে হাজির করা হয়। মূলত সেখান থেকেই তাকে অকল্যান্ডের ওই জেলখানাটিতে পাঠানো হয়। কারাগারে আটক ব্রেন্টন ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘জেলখানায় আমাকে সকল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে ফোন এবং কোনো পরিজনের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
এদিকে ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সবার থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে তাকে; এমনকি সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। ফলে অনেক ন্যুনতম সুবিধা থেকেই তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, প্রতিটি বন্দি সপ্তাহে একজন বেসরকারি দর্শনার্থীর সঙ্গে অন্তত ৩০ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পাবেন। এমনকি প্রতি সপ্তাহে একবার করে ফোনে যে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এর পাশাপাশি তাদের যথার্থ খাবার ও পানীয়, বিছানাপত্র, স্বাস্থ্যসেবা ও ব্যয়ামের সুবিধাদি দেওয়া হবে।
অপরদিকে ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়, বন্দিদের সম্পূর্ণ মানবতা, মর্যাদা এবং সম্মানের সঙ্গে থাকার অধিকার রয়েছে। তবে বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ যেকোনো বন্দির জন্য এ নিয়মের অন্যথা করতে পারে। যদিও কারা-কর্তৃপক্ষের দাবি, যদিও কোনো বন্দিকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে আলাদা করে রাখা হয়, তাহলে তার ক্ষেত্রে অন্য সকল নিয়ম শিথিল হতে পারে। আর ব্রেন্টনের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।
ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘নির্মম এ হামলায় অভিযুক্ত ব্রেন্টন কোনো গণমাধ্যম কিংবা দর্শনার্থীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। দেশটির প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিরাপত্তার কারণে তার সম্পর্কে কোনো ধরনের তথ্য বাইরে প্রকাশ করা হবে না। যদিও সে সবকিছু নিয়েই অভিযোগ করে আসছেন।’
বিবিসি নিউজ জানায়, আগামী এপ্রিলের ৫ তারিখ পর্যন্ত ব্রেন্টনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চ হামলার পরবর্তী শুনানির দিনে তাকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। ঐ হামলার ধাক্কা সামাল দিতে নিউজিল্যান্ড যে অভূতপূর্ব প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাকে সম্মান জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডান বলেছেন, ‘আমরা হেইট বা ঘৃণা এবং ভীতির ঊর্ধ্বে নই। কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা খুব দ্রুতই সেরে উঠবো।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিউজিল্যান্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ