গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর হাতিরঝিল সংলগ্ন পুলিশ প্লাজায় আগুন আতঙ্ক দেখা গেছে। ভুল চাপে ফায়ার এলার্ম বেজে উঠায় এই আতঙ্ক দেখা দেয়। এতে ভবনটিতে থাকা লোকজন দ্রুত নিচে নেমে আসেন।
ভবনটি থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকজন জানান, সকালে ক্লিনারের হাতের চাপে ভবনটির ফায়ার এলার্ম বেজে উঠে। আগুন লেগেছে ভেবে প্লাজায় থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করে নিচে নেমে আসে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেলেও আগুন দেখতে পায়নি। পরে বেরিয়ে আসা লোকজন আবার ফিরে যান।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুন লাগে। ভয়াবহ ওই আগুনে প্রাণ হারান ৭০ জনের বেশি মানুষ। আহত হন আরও অনেকে।
চকবাজারের আগুনের রেশ কাটতে না কাটতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে বনানীর বহুতল ভবন এফ আর টাওয়ারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবনটিতে লাগা আগুনে প্রাণ হারান ২৬ জন। আহত ও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও অর্ধ শতাধিক।
বনানীর ঠিক একদিন পর শনিবার ভোরে আগুন লাগে গুলশানের ডিএনসিসি কাঁচাবাজারে। এর কিছু সময় পর দুপুরে গুলশানের ডেল্টা টাওয়ারে আগুন লাগলে তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়।
ঘন ঘন আগুনের ঘটনা রাজধানীবাসীকে আতঙ্কিত করে তুলছে। কর্মস্থলে কিংবা বাসায় থাকা মানুষ নিজেকে নিরাপদ মনে না করে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। রবিবার সকালে গুলশানের পুলিশ প্লাজায় ভুল চাপে ফায়ার এলার্ম বেজে উঠলে ভবনে থাকা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাসেল শিকদার জানান, সকালে পুলিশ প্লাজার ফায়ার এলার্ম হঠাৎ কোনো কারণে বেজে উঠে। ভয়ে ভবনে থাকা সবাই নিচে নেমে আসে। তবে আগুনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, পুলিশ প্লাজার মতো শনিবার রাতেও ধানমন্ডিতে আগুন লাগার খবর দিয়ে ডাকা হয়েছিল ফায়ার সার্ভিসকে। ফোন পেয়ে ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডের ২২ নম্বর বাসায় গিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দেখতে পান সেখানে কোনো আগুন লাগেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।