গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বনানীর ৩২ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের এফআর টাওয়ারে মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুক (৬৫) এবং তিনটি ফ্লোরের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাসভিরকে বারিধারা এবং দিবাগত রাত ১টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে ১ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৭৩ জন।
এ ঘটনায় শনিবার বনানী থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। এতে তাসভির উল ছাড়াও রুপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুককে আসামি করা হয়।
তাসভির উল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। পাশাপাশি তিনি কাশেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা। জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বরে ভবনটির ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ন গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য রাজউকে আবেদন করেন। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়।
পরে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়। ডেভেলপার কোম্পানি ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম।
এফআর টাওয়ারটি একাধিকবার পরিদর্শন করে এর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বিভিন্ন ত্রুটির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিল ফায়ার সার্ভিস। এজন্য কিছু সুপারিশও করা হয়েছিল। তবে পরপর দু'বার নোটিশ করেও কাজ হয়নি। ভবনের ফায়ার সেফটি ইস্যুতে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ১৮তলা ভবন নির্মাণের জন্য এফ আর টাওয়ারের নকশা রাজউক থেকে অনুমোদন করা হলেও সেখানে পরবর্তীতে নির্মাণ করা হয় ২৩তলা। রাউজকের অনুমোদিত নকশা থেকে এ ভবনের নকশায় আরও অনেক বিচ্যুত রয়েছে। এফআর টাওয়ারের মালিকপক্ষ ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা পেশ করে, যার সঙ্গে রাজউকে সংরক্ষিত নকশার কোনো মিল নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।