বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুর সদর উপজেলার কুলুরচরে সাতপাকিয়া গ্রামে ৭বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৮মার্চ দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গতকাল রাতেই শেরপুর সদর থানায় শিশুর নানীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধর্ষক হাসেম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাসেম কুলুরচর এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে ও এক সন্তানের জনক।
পুলিশ জানায়, বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর শিশুটি শেরপুর সদর উপজেলার কুলুরচর বেপারীপাড়া নানীর বাসায় থাকতো। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসেম মিয়া ওই শিশুকে লুডু খেলার কথা বলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত আহতাবস্থা এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
২৯মার্চ শিশুটিকে শেরপুর সদর থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে তাদের তত্ত্বাবধানে শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন।
পুলিশ রাতেই একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে থেকে ধর্ষক হাসেম মিয়াকে গ্রেফতার করে। আজ বিকেলে পুলিশ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
ধর্ষিতার নানী সাহেরা বেগম জানান, পেন খহাইছে, পেনে মধ্যে এখনও অক্ত আছে, পরে সরকারী লোক আইয়া জামালপুরের হাসপাতালে নিয়া গেলগা, পরে শেরপুর থানার পুলিশ শেরপুর নিয়ে আইলো। আমরা গরিব মানুষ। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নজরুল ইসলাম জানান, সদর থানার কুলুরচর ব্যাপারী পাড়ায় ৭ বছরের শিশুকে হাশেম মিয়া ২টা আড়াইটার দিকে লুডু খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করে। পরে তাকে জামালপুর থানার পুলিশ জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমরা খবর পেয়ে ভিকটিমকে আমাদের তত্ববধানে নিয়ে আসি এবং শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ধর্ষককে স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা ধৃত করতে সক্ষম হয়েছি। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। আসামীর যাতে উপযুক্ত বিচার হয় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।