মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আমেথি, রায়বেরেলি হয়ে অযোধ্যা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর তিন দিনের উত্তরপ্রদেশ সফর শুরু হয়েছে বুধবার। বিকেলে লক্ষেèৗ থেকে আমেথিতে পৌঁছনোর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেস চাইলে তিনি ভোটে লড়তে রাজি বলে রাহুল গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র আমেথিতে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে এখনও এ বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানিয়েছেন রাজীব কন্যা।
আমেথিতে পৌঁছনোর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রিয়াঙ্কা। তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি জবাব দেন। বলেন, ‘ভোটে লড়ব না কেন? আপনিও লড়তে পারেন। যদি দল আমাকে ভোটে লড়তে বলে, নিশ্চয়ই লড়ব।’ বেশ কয়েক বছর ধরে শুধু আমেথি-রায়বেরেলিতে মা, ভাইয়ের হয়ে প্রচার করলেও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নামেননি প্রিয়াঙ্কা। তবে জানুয়ারিতে কংগ্রেস তাঁকে প‚র্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক করেছে। জল্পনা ছিল, সোনিয়া গান্ধীর কেন্দ্র রায়বেরেলী থেকে ভোটে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা। সে ক্ষেত্রে ভোটে লড়বন না সোনিয়া। কিন্তু কংগ্রেস ইতিমধ্যেই রায়বেরেলি থেকে সোনিয়ার নাম ঘোষণা করে দিয়ে সেই জল্পনায় পানি ঢেলে দিয়েছে। জল্পনা ছিল বারাণসীকে নিয়েও। অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছে দল। এই পরিস্থিতিতেই প্রিয়াঙ্কা জানালেন, দল চাইলে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন তিনি।
ক’দিন আগেই গঙ্গাবক্ষে প্রিয়াঙ্কার সফর উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। আর বুধবার উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয়বারের ভোট-সফরে নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা। আমেথিতে বুথস্তরের সভাপতিদের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টা আলোচনা করেন তিনি। তাদের বলেন, ‘মোদির ফাঁকা বুলিকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। নোট বাতিল, ১০০ দিনের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্রের অনীহা, ফুড পার্ক কেড়ে নেওয়া আর যত্রতত্র গবাদি পশুর ঘুরে বেড়ানো আমেথির মানুষের জীবনে সঙ্কট নিয়ে এসেছে।’ তার মন্তব্য, ‘কংগ্রেস জামানায় দেশলাই থেকে শুরু করে মিসাইল পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশ সফর করে বেড়াচ্ছেন। চাষিরাও ফসলের দাম পাচ্ছেন না।’
বৃহস্পতিবার প্রিয়াঙ্কার রায়বরেলিতে যাওয়ার কথা।
প্রিয়াঙ্কা আমেথি পৌঁছনোর আগেই তার নামে পোস্টার পড়ে। তাতে লেখা, ‘আমাদের বোকা বানাচ্ছেন কেন? পাঁচ বছরে একবার আমেথি আসেন কেন?’ অন্য একটি পোস্টারে লেখা হয়, ভোটারদের প্রভাবিত করতেই শাড়ি পরেন প্রিয়াঙ্কা। আমেথি মুসাফিরখানা বাসস্ট্যান্ডের কাছে লাগানো ওই সব পোস্টারে সমাজবাদী পার্টির এক ছাত্রনেতার ছবি দেওয়া ছিল। এর পরেই ওই ছাত্রনেতা জয়সিংহ প্রতাপ সিংহ জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগে জানান, ওই পোস্টারের সঙ্গে তার যোগ নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তার ছবি ব্যবহার করেছে কেউ। আর এ কাজ করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা ও তার বদনাম করার জন্য। পোস্টার কাÐের তদন্তের দাবি করেন ওই ছাত্রনেতা।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ছোটছেলের কথা : মমতা
রাজ্যে তার সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর অভিযোগকে ‘ছোট ছেলের কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৃষক, শ্রমিক, যুবকদের জন্য মমতা কিছু করেননি বলে দিন কয়েক আগে মালদহে এসে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন রাহুল। তার জবাবে বুধবার মমতা বলেন, ‘ছোট ছেলে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। ও বলেছে বলে আমাকেও বলতে হবে নাকি?’ রাহুলের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও এ দিন অবশ্য লোকসভা ভোটে তৃণম‚লের ইস্তাহার প্রকাশের গোড়াতেই কর্মসংস্থান, কৃষক, শ্রমিকদের জন্য তার সরকারের কাজের গুচ্ছ ফিরিস্তি দেন মমতা।
কৃষকদের খাজনা মকুব থেকে শুরু করে তাদের জন্য বিমা-প্রকল্পকে এক করে উল্লেখ করেন মমতা। এ রাজ্যে কৃষকদের আয় তিনগুণ বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য তার প্রকল্পগুলিরও খতিয়ান দেন মুখ্যমন্ত্রী। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে দু’লাখ মানুষকে তিনি যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তাও জানান তিনি।
এর পরেই কারও নাম না করেই মমতা বলেন, ‘যারা এ সব জানে না, তারাই কথা বলে। ভারত সরকারের কাছে সব তথ্য আছে। ফলে রাজনৈতিক কারণে যা ইচ্ছে বলে যাব, হবে না।’
মমতার এই মন্তব্য রাহুলের উদ্দেশেই বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা। তবে ভোটপ্রচারে এসে রাহুল যে ভাবে তাকে আক্রমণ করলেন, তাতে বিজেপি-বিরোধী সরকার গঠনে কংগ্রেস-তৃণম‚লের সম্পর্ক এখনও স্পষ্ট নয় বলে অনেকের মত। কংগ্রেসকে আগামী দিনে পাশে পাবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন মমতাও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।