পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পুলওয়ামা হামলার ব্যাপারে ভারত গত বুধবার পাকিস্তানের কাছে যেসব তথ্য প্রমাণ পাকিস্তানের কাছে দিয়েছিল, ইসলামাবাদ সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, ভারত যেসব অভিযোগ করেছে তার কোনোটিরই ভিত্তি পাওয়া যায়নি। একই সাথে তারা আবারো প্রস্তাব দিয়েছে, যৌক্তিক প্রমাণ দেয়া হলে পাকিস্তান সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতের পক্ষ থেকে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে, সেগুলো পরীক্ষা করে পুলওয়ামার ওই হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। তারা যদি আমাদেরকে পরিষ্কার কোনো প্রমাণ দেয় তাহলে আমরা সেটি তদন্ত করতে এবং তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব তেহমিনা জানজুয়া গত বুধবার ভারতের হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে ডেকে পাঠান। এ সময় তারা পুলওয়ামার ঘটনায় নিয়ে ‘প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ’ আদান*প্রদান করেন। পরে জানজুয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারতের থেকে আরো তথ্যপ্রমাণ চেয়েছি।’ জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এ হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হয়। এ হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় স্বাধীনতাকামী সংগঠন জঈশ-ই-মোহাম্মদ। ভারত এ ঘটনার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে ভারতের কাছে প্রমাণ চান। তিনি বলেন, যদি নয়াদিল্লি এ ব্যাপারে প্রমাণ পেশ করে, তাহলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন তারা। এর প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখে ভারত কিছু তথ্য প্রদান করে। এর একমাস পর পাকিস্তান ভারতের কাছ থেকে আরো কিছু তথ্য নেয় এবং বিনিময়ে তারাও কিছু তথ্য ভারতের হাতে দেয়। এর একদিন পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতের দেয়া এসব তথ্যে পাকিস্তানকে ওই ঘটনার সাথে যুক্ত করার মতো নিরেট কিছু পাওয়া যায়নি। ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।