পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে আগামী মাস থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। এখনও সেখানে অবজ্ঞা-উপেক্ষা আর অবহেলায় রয়ে গেছেন ভোটাধিকার বঞ্চিত লাখ লাখ মানুষ। সনাক্তকারী কাগজপত্র না থাকায় জটিলতায় পড়েছেন তারা। এদিকে ভুয়া ভোটার রুখতে এবার সাপ্লিমেন্টারি তালিকা দেবে নির্বাচন কমিশন। সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে বিনামূল্যে এই তালিকা দেয়া হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের ৩ দিন আগেই রাজনৈতিক দলগুলি এই তালিকা পাবে বলে নির্বাচন সূত্রের খবর।
ভারতের নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ বছরের অধিক বয়সী ভারতের সব নাগরিক দেশটির ভোটার হওয়ার যোগ্য। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, কর্তৃপক্ষের চেষ্টা সত্তে¡ও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন আনুমানিক ৪০ লাখ মানুষ। ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আওয়াজ তুলেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলছে, এই জনসমষ্টি নিজ দেশেই ঝুঁকিতে রয়েছে। এখন এই বিষয়টি আরও প্রকট হয়ে উঠছে।
তবে এই আবাসন ইস্যু সজাগ নির্বাচন কমিশনও। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গৃহহীন এই মানুষদের একটি সাময়িক ঠিকানার আওতায় আনা হবে। এর আওতায় গৃহহীন মানুষেরা তাদের ঠিকানা হিসেবে নাইট শেল্টার, ফ্লাইওভার এবং স্ট্রিটল্যাম্পের স্থানকেও ব্যবহার করতে পারবেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১০ হাজার মানুষ এর আওতায় পড়েছিলেন। কিন্তু সে সময় মাত্র তিন হাজারের কিছু বেশি মানুষ এ পদ্ধতিতে নিজেদের তালিকাভুক্ত করেছিলেন।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ শাহারি অধিকার মঞ্চের অশোক পান্ডের মতে, গৃহহীন মানুষের জন্য এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন কঠিন। কেননা এসব মানুষের মধ্যে স্থানান্তরের এক ধরনের প্রবণতা কাজ করে। অথচ যাচাইয়ের সময় প্রদত্ত ঠিকানায় পাওয়া না গেলে তাদের নাম বাতিল করে দেওয়া হবে। এটি একটি সমস্যা, কেননা তারা নির্দিষ্ট একটি জায়গায় স্থির থাকে না। তিনি বলেন, তাদের গৃহহীন হওয়ার বিষয়টি আসলেই এখানে বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত নয়। তারা এখনও নাগরিক এবং তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে।
ভারতের নির্বাচনে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ এমনিতেই তুলনামূলক কম। এর কারণ যতটা না আমলাতান্ত্রিক, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে সামাজিক চাপের বিষয়টি। নির্বাচন বিশ্লেষক প্রণয় রায় এবং দোরাব সোপারিওয়ালা’র মতে, নারীদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি তাদের চারপাশের মানুষের দ্বারা ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত হয়। আইনগতভাবে ভোট দেওয়ার যোগ্য হলেও ভারতীয় নারীরা প্রায়ই ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার উল্লেখ করে থাকেন। কয়েক দশক ধরে নিবন্ধন না করায় ভোটার তালিকায় নাম নেই দুই কোটি ১০ লাখ নারীর।
এদিকে, ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়ায় ভুয়া ভোটার রুখতে নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা দাবি করেছিল বিরোধীরা। সে অনুযায়ী ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই ভুয়া ভোটার, মৃত ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে সাপ্লিমেন্টারি ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে বিনামূল্যে এই তালিকা দেবে কমিশন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের ৩ দিন আগেই রাজনৈতিক দলগুলি এই তালিকা পাবে বলে নির্বাচন সূত্রের খবর। সূত্র: এক্সপ্রেস ইউকে, ভয়েস অব আমেরিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।