প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সঙ্গীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমার বর্তমান স্বামী সানাউল্লাহ নূর সাগরের বিরুদ্ধে তার প্রথম স্ত্রীর পক্ষ থেকে মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সাগর ও সালমা বিয়ে করেন। সালমা যে সাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তা প্রকাশিত হলো। জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩ জুন কক্সবাজারের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। সাগর লন্ডন যাওয়ার পর থেকেই স্ত্রীর সেঙ্গ বাজে ব্যবহার করতেন, এই অভিযোগ এনে গত বছরের ১৯ নভেম্বর কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলা করা হয়। মামলায় বাদী সাগরের প্রথম স্ত্রীর মা। মামলায় সাগর ও তার বাবা-মাকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও পাঠিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম মাহমুদুর রহমান। মামলার বিবরণীতে অভিযাগ করা হয়েছে, বিয়ের পর থেকে নানাভাবে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন সাগর। শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন স্ত্রীকে। মেয়ের কথা চিন্তা করে সাগরকে তিন কিস্তিতে ১০ লাখ টাকা দেন শ্বশুর-শাশুড়ি। সেই টাকায় সানাউল্লাহ নূর সাগর যুক্তরাজ্যে বার অ্যাট ল পড়তে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েই তার স্বভাব পালটে যায়। এ ব্যাপারে সালমা বলেন, আমার স্বামী ও আমাকে হয়রানি করতেই এই সাজানো মামলা দেয়া হয়েছে। ওই নারী (সাগরের প্রথম স্ত্রী) নিজে সংসারে সুখী হতে পারেননি। এখন আরেকজন নারীর সংসার নষ্ট করতে চাইছেন। সাগরের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ সবই মিথ্যা। আমার স্বামীর টাকার দিকেই হয়তো তাদের নজর। সে জন্য এই মামলা। যদি কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়া যায়। সালমা বলেন, সাগর স¤পর্কে জেনেশুনেই বিয়ে করেছি আমি। তার আগে একটা সংসার ছিল সেটা আমি জানি। এক বছর আগেই ওই মহিলাকে ডিভোর্স দিয়েছে সাগর। যার সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে তাকে কীভাবে স্বামী বলে দাবি করেন তিনি? ডিভোর্সের এক বছর পর তাদের মনে হলো নির্যাতনের কথা, মামলার কথা? এখানে অন্য উদ্দেশ্য আছে। আমি একজন পরিচিতি মানুষ। এখন সাগরকে নিয়ে কথা বললে আলোচনায় আসা যাবে। মিডিয়ার কভারেজ পাওয়া যাবে। একজন তারকার বিয়ে-সংসার নিয়ে মুখরোচক কিছু তথ্য পাওয়া গেলে সেটা লুফে নেয় সবাই। আমার ইমেজে আঘাত করে ওই নারী ও তার পরিবার হয়তো কোনো পরিকল্পিত উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। তাই তারা আমার স্বামীর নামে এই হয়রানিমূলক মামলাটি দিয়েছে। আর মামলাটিও করেছে যখন সাগর আর আমার বিয়ের কথা পাকা হয়েছে তখন। ডিভোর্সের আগে তারা নারী নির্যাতনের মামলা দিল না কেন? সালমা বলেন, এর জবাব আইনি প্রক্রিয়ায়ই দেয়া হবে। আমার স্বামী নিজে আইনের ছাত্র। সে ভালো করেই জানে এইসব বিষয়ে কী করা উচিত। এটা তো ফেইক মামলা। একজন মানুষ লন্ডন থেকে কীভাব নারী নির্যাতন করতে পারে! আইনিভাবেই এর মোকাবিলা করবো আমরা। উল্লেখ্য, সাগরের সাথে সালমারও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি সালমা ও শিবলী সাদিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্নেহা নামে তাদের ঘরে সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।