পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আওয়ামী লীগের মাজা ভেঙে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহŸায়ক শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আর নেতাদের হাতে নেই। পুলিশ অফিসার, পুলিশ কমিশনার, এসি, ডিসিরা এখন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক। আওয়ামী লীগ বলতে দেশে এখন আর কিছু নাই। আওয়ামী লীগ শেষ। গতকাল (রোববার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদাসহ সকল কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের ডিজিটাল প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন ছাড়া প্রধানমন্ত্রী, সবকিছু দেখতে পারেন। ব্যাংক দেখতে পারেন, টাকা দেখতে পারেন, আত্মীয়দের দেখতে পারেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের কিভাবে জেলে ভরতে হয়, নির্যাতন করতে হয় তা দেখতে পারেন কিন্তু শিক্ষকদের যে সমস্যা তার নজরে আসে না। শিক্ষকরা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কথা বলার চেষ্টা করছে। অথচ শিক্ষামন্ত্রী ১৫ থেকে হাত বা ১৫/২০ মিনিট দূরে থাকে। অথচ তিনি শিক্ষকদের কথা শুনছেন না।
বেগম খালেদা জিয়া বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী উল্লেখ করে দুদু বলেন, বেগম জিয়া সব কিছু ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন স্বৈরাচারী আইনের বিরুদ্ধে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। তিনি ৯/১০ বছর আন্দোলন করেছেন। তার অনেক সহকর্মী এরশাদের সাথে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু তিনি একা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ে গেছেন আপোষ করেননি। যে কারণে তিনি আপোষহীন নেত্রী। তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় প্রায় দেড় বছর ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তারেক রহমানের নামে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। সেই মামলার প্রথম রায় বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সরকারের সাজানো বুদ্ধিতে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন করে এই সরকার ক্ষমতায় আসে নাই মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কি জিনিস ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমলে মানুষ দেখেছে। আর বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচনের নামে তামাশা এর আগে কোনো সরকারে আমলে মানুষ দেখেনি। নির্বাচন নিয়ে তামাশা হানাদার বাহিনী, পাকিস্তানি বাহিনী, ব্রিটিশ বাহিনীর কেউ পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনা পেরেছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘুরে দাঁড়ানোর আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে সারা জীবন জেলে রাখবে এটা সম্ভব না, কোনোকালেই সম্ভব না। সাময়িকভাবে আটকে রাখতে পারেন। তিনি বের হবেন, শুধু বের হবেন না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। যেমন গতবার করেছেন। বের হয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন।
আন্দোলন বলে কয়ে আসে না মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এক সপ্তাহ আগে আইয়ুব খানও বুঝে নাই, এরশাদও এক সপ্তাহ আগে বুঝে নাই তার পতন হবে। শেখ হাসিনাও এখন বুঝতেছেন না। হঠাৎ করে দেখবেন তার পতন হয়ে গেছে। দেশের সব জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। এটা হবে দেশের তৃতীয় গণঅভ্যুত্থান। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হতাশ হওয়ার কিছু নাই। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান আছেন। বিএনপি আছে, দেশের মানুষ তাদের ওপর ভরসা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক নাজিম উদ্দিন মাস্টার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আকতার হোসেন বাচ্চু, আজম খান, কৃষক দলের মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।