মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে গতকাল হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে সম্প্রীতির মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাহাদাত বরণকারীদের স্মরণে এ সম্প্রীতির মিছিলের মধ্য দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছে দেশটি। এতে অংশ নেন কমপক্ষে ৩ হাজার মানুষ। গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে কমপক্ষে ৫০ জন মুসল্লিকে হত্যা করা হয়। এ মর্মান্তিক ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ নিন্দা জানিয়ে মুসলিমদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। শুক্রবার সারাদেশে ২ মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।
গতকাল শনিবার সকালে ক্রাইস্টচার্চের নর্থহেগলি পার্কে অনুষ্ঠিত হয় ‘মার্চ ফর লাভ’ মিছিল। ভালবাসার মিছিলে যোগদানকারীরা সন্ত্রাসী ব্রেনটন ট্যারান্টের উদ্দেশে বহন করছিলেন প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছিল- ‘হি ওয়ান্টেড টু ডিভাইড আস, হি অনলি মেইড আস স্ট্রংগার’। অর্থাৎ ট্যারান্ট আমাদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, কিন্তু সে শুধু আমাদের শক্তিশালী করেছে।
আরেকটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘মুসলিমস ওয়েলকাম, রেসিস্ট নট’। যার অর্থ দাঁড়ায় মুসলিমদের স্বাগতম, বর্ণবাদকে নয়। সম্প্রীতির এই মিছিলে যারা অংশ নেন তাদের সবাই মৃদুস্বরে গেয়েছেন শান্তির বাণী।
সম্প্রীতির মিছিলের আয়োজকদের অন্যতম হলেন ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মানাইয়া বাটলার। তিনি বলেন, আমি মনে করি বিভিন্ন সময়ে ঘৃণা অনেক অন্ধকারকে সামনে এনেছে। কিন্তু সেই অন্ধকারের পাশাপাশি ভালবাসা আরো শক্তিশালী হয়েছে। সেই ভালবাসা অন্ধকারকে দূর করে দিয়েছে। নতুন করে রং লাগিয়ে গতকাল শনিবার আল নূর মসজিদ ও লিনউড মসজিদ খুলে দেয়া হয়। এর আশপাশে পাহারায় ছিল সশস্ত্র পুলিশ। আল নূর মসজিদের বাইরে আশিক শেখ নামে একজন বলেন, এই সেই মসজিদ যেখানে আমরা নামাজ আদায় করি। আমরা একে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাত করি। আবার আমরা সেখানে ফিরে আসতে পেরেছি। হামলার দিনও তিনি এই মসজিদে উপস্থিত ছিলেন। ওই হামলায় নিহত হয়েছেন তার দুই প্রতিবেশী।
সেদিনের হামলায় নিহতদের বেশির ভাগই বিদেশী অভিবাসী। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশী, ভারতীয়, পাকিস্তানি, মালয়েশিয়, ইন্দোনেশীয়, তুর্কি, সোমালি ও আফগান। ওদিকে মক্কা শরীফে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিউজিল্যান্ডে শহীদদের গায়েবি জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের জনসংখ্যা প্রতিবেদন অনুযায়ী নিউজিল্যান্ডের ৪৮ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা মাত্র এক শতাংশের কিছু বেশি। সূত্র : নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড, রয়টার্স ও অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।