মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন নিহতের ঘটনার এক সপ্তাহ পর দেশটির নারীরা মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানাতে মাথায় হিজাব পরেছেন। শুক্রবার দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীরা হিজাব পরেন। অকল্যান্ডের চিকিৎসক থায়া আশমানের আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এ কর্মসূচির উদ্যোক্তা আশমান বলেন, ‘আমরা আপনার সঙ্গে আছি, আমরা চাই আপনি ঘরের মতো রাস্তায়ও যেন নিরাপদবোধ করেন, আমরা আপনাকে ভালোবাসি, সমর্থন ও শ্রদ্ধা করি’।
হামলার পর শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের মানুষেরা আল নূর মসজিদের সামনে জড়ো হন। অকল্যান্ড, ওয়েলিংটন ও ক্রাইস্টচার্চের নারীরা হিজাব পরে ছবি তুলে তা প্রচার করছেন। অনেকের সঙ্গে তাদের সন্তানরাও ছিল।
ক্রাইস্টচার্চের এক নারী বেল সিবলি বলেন, আজ কেন আমি হিজাব পরছি? এর প্রথম কারণ হলো, যদি কেউ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তাহলে আমি বন্দুকধারী যাকে লক্ষ্য করেছে, তার ও হামলাকারীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে বাধা দিতে চাই। আমি চাই না হামলাকারী পার্থক্য করতে পারুক। কারণ, এখানে কোনও পার্থক্য নেই।
অনেক মুসলিম নারী পর্দার অংশ হিসেবে প্রকাশ্যে বের হলে মাথায় হিজাব পরেন। যদিও অনেকে এটা নারীর প্রতি নিপীড়ন উল্লেখ করে হিজাবের সমালোচনা করেন।
গত সপ্তাহে মুসলিমদের প্রতি শোক ও সংহতি জানাতে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন কালো রঙের হিজাব পরে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার হামলায় নিহতদের দাফন করা হয়েছে ক্রাইস্টচার্চ সমাধিস্থলে। সেখানে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছে। তার হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও মাথায় স্কার্ফ রয়েছে।
সম্প্রীতির জন্য মাথায় স্কার্ফ কর্মসূচির প্রধান র্যাচেল ম্যাকগ্রেগর জানান, তিনি যখন মাথায় স্কার্ফ পরে অফিসে প্রবেশ করেন তখন মানুষজনের তাকানোতে তিনি উদ্বিগ্ন বোধ করেছেন। তিনি বলেন, এই প্রথম আমি সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারলাম সংখ্যালঘু হওয়া ও সংখ্যাগরিষ্ঠরা যে পোশাক পরে না তা পরলে কেমন অনুভূতি হয়।
ইসলামি পোশাক হিজাব ও নিকাব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বেশ কিছু দেশ এগুলো নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছে, বিশেষ করে নিকাব। তবে অনেক দেশে নারীদের এসব পরার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।