বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত মোগলহাট রেল রেলস্টেশন দিয়ে পুনরায় রেল যোগাযোগ চালু করা হবে। এজন্য আগামী ২ বছরের মধ্যে কাউনিয়া-বুড়িমারী রেলপথ ডুয়েলগেজে রূপান্তিত করা হবে। এছাড়াও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করা হবে লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস। বর্তমান সরকার ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যেসব রেলপথ চালু ছিল সেগুলোও পুনরায় চালু করবে। গতকাল শুক্রবার লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আগে বুড়িমারী স্থল বন্দর থেকে মালামাল রেল পথে যেত, এখন ট্রাকে যাচ্ছে। ট্রাক সেক্টরের সিÐিকেটের কারণে এখন আর রেল পথে মালামাল যাচ্ছে না। এতে রেলওয়ে বিভাগ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যদি আবারও উদ্দ্যোগ নিয়ে রেল পথে মালামাল পরিবহন করেন তাহলে রেলওয়ে বিভাগ আরো লাভজনক হয়ে উঠবে। তিনি আরো বলেন, বুড়িমারী স্থল বন্দর-চ্যাংরাবান্ধা রুট দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালসহ ৪ দেশীয় ট্রেন পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে লালমনি-এক্সপ্রেস যোগে ২দিনের সফরে শুক্রবার সকালে তিনি লালমনিরহাট রেল স্টেশনে পৌঁছান।
সেখানে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে বেশ উন্নয়ন হয়েছে, সে তুলনায় রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল পিছিয়ে আছে। তাই পশ্চিম অঞ্চলের অবহেলিত রেলের উন্নয়ন করা হবে। চালু করা হবে বন্ধ থাকা সকল রেল লাইন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো দ্রæত ও আধুনিক করতে রেলকে ঢেলে সাজানোর মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাটে মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মতিয়ার রহমান, সাবেক এমপি (সংরক্ষিত আসনের) সফুরা বেগম রূমী, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় জিএম খন্দকার শহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, রেলওয়ে বিভাগীয় ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট মো. শওকত জামিল মোহসী, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার তাপস সরকার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজনসহ জেলা প্রশাসন ও রেল বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রামবাসীর দাবীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে
শুক্রবার বিকেলে কুড়িগ্রাম ও রমনা স্টেশন পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের অংশ হিসেবে রেলপথের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে। রেলওয়েকে তার পুরোনো ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের সব এলাকাকে রেল যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে এ বছরের মধ্যে সাড়ে ৫শ’ কোচ ও একশ ইঞ্জিন আমদানি করা হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা, স্থানীয় জনগণ ও রেল-নৌ যোগাযোগ গণকমিটির নেতারা কুড়িগ্রাম থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু, দ্বিতীয় তিস্তা সেতুতে রেললাইন সংযোজন, বঙ্গসোনাহাটর স্থলবন্দরের সাথে জেলার রেলপথ নির্মাণ এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে রৌমারী স্থলবন্দরের সাথে রেলপথ সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়।
মন্ত্রী এসময় বলেন, আমি সরজমিন পরির্দশন করে বাস্তব অবস্থা দেখে গেলাম। কুড়িগ্রামবাসীর দাবীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। রেলের ব্যাপারে কুড়িগ্রামবাসীর সকল দাবী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়াও রেলমন্ত্রী, ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথ মেরামত ও রেলওয়ে যুগপোযোগী করার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে যেসব এলাকায় রেলপথ নেই, সেখানে রেললাইন সম্প্রসারণ, সকল রেললাইনকে ব্রডগেজে রুপান্তরিত করার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সকল লাইনে ডুয়েল গেজ রাখার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যেসব এলাকায় ব্রডগেজ রয়েছে সেখানে মিটার গেজও থাকবে।
এসময় কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মো: মেহেদুল করিম ও রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।