Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে ধ্বনিত হলো ‘আল্লাহু আকবার’

২ মিনিটের নীরবতা পালন : সহমর্মিতা নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীসহ হাজারো অমুসলিমের হৃদয় ভেঙেছে, কিন্তু আমরা ভেঙে পড়িনি : খুতবাং আল নূর মসজিদের ইমাম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বিশ্বের মুসলিম অধ্যুষিত প্রতিটি এলাকাতেই প্রতিদিন মসজিদ থেকে ধ্বনিত হয় মহান আল্লাহর মহত্ব-এককত্ব। সউদী আরব ছাড়া আর কোন দেশের টিভিতেই নামাজ সরাসরি সম্প্রচার করা হয় না। কিন্তু ইতিহাসে এই প্রথম বারের মতো গতকাল এক বিরল ঘটনার জন্ম দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ টিভি মিডিয়াগুলো তো বটেই খোদ নিউজিল্যান্ডের জাতীয় গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে আজান ও জুমা নামাজ। গত ১৫ মার্চ শুক্রবার জুমা নামাজের প্রাক্কালে শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্টের ব্রাশফায়ারে যে ৫০ মুসলিম শাহাদাতবরণ করেন তাদের প্রতি শোক ও তাদের স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশে খোদ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের নেতৃত্বে দেশটির হাজার হাজার মানুষ এসে চতুর্পার্শ্বে প্রাচীরের ন্যায় দাঁড়িয়ে থেকে পাহারা দিয়েছেন। খ্রিস্টসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের নিশ্চিদ্র পাহারায় কোনো ধরনের আতঙ্ক ছাড়াই নামাজ আদায় করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা মুসলিমরা। এখানে বারবার সুউচ্চ কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’।
আজানের মাত্র দু’মিনিট আগে হ্যাগলি পার্কের নামাজস্থলে এসে হাজির হন নিউজিল্যান্ডের মানবদরদী মাথায় স্কার্ফ পরা প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। তিনি গত বুধবার দেশটির সরকারি গণমাধ্যমকে জুমা নামাজ সরাসরি সম্প্রচারের নির্দেশ দেন। নিউজিল্যান্ড টিভির সৌজন্যে বিবিসি, সিএনএন, স্কাইনিউজ, আল-জাজিরাসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান গণমাধ্যম আজান ও নামাজ সরাসরি সম্প্রচার করে। তবে যারা বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার দেখার জন্য চ্যানেলের পর চ্যানেল পাল্টেছেন তারা হয়েছেন হতাশ।
জাতীয়ভাবে শোক প্রকাশের অংশ হিসেবে এসময় দু’মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। মাত্র কয়েকটি শব্দে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। এ সময় মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর হাদীস উদ্ধৃত করে তিনি সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে পুরো নিউজিল্যান্ডই ব্যথিত। আমরা সবাই এক।’ তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, বিশ্ববাসী পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে একটি শরীরের মতো থাকবেন। যখন শরীরের কোনো অঙ্গে ব্যথা হয় তখন পুরো শরীরে ব্যথা হয়। জুমা নামাজ শেষে ১৫ মার্চ শাহাদাতবরণকারী ২৬ মুসলিমের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয় লিনউড মোমেরিয়াল সেমিট্রিতে। এদের মধ্যে ছিল সর্বকনিষ্ঠ শহীদ ৩ বছরের ছোট্ট মুসাদ ইব্রাহিমের লাশও। নামাজের আগে স্থানীয় সময় ১টা ৩২ মিনিটে ২ মিনিটের নীরবতা পালন শুরু হয়। লাইভ প্রচার থাকায় যে যেখানে ছিলেন দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে শরিক হন।
এদিন নামাজ পরিচালনাকারী ইমাম জামাল ফাওদা তাঁর খুতবায় বলেন, ওই বন্দুকধারী এখানে হামলা চালিয়ে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। আজ সেই একই জায়গা থেকে আমি শুধু ভালোবাসাই দেখতে পাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে, কিন্তু আমরা ভেঙে পড়িনি। আমরা জীবিত ও আমরা এক। আমরা কাউকেই আমাদের মাঝে বিভক্তি তৈরি করতে দেবো না। জুমার নামাজের খুতবায় তিনি আরো বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের জনগণের মাঝে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করে সফল হয়নি হামলাকারী। খুতবা দিতে গিয়ে ইমাম জামাল এক সপ্তাহ আগের সে ভয়াবহ ঘটনাকে স্মরণ করেন। বলেন, ‘গত শুক্রবার আমি এ মসজিদে ছিলাম এবং ওই সন্ত্রাসীর চোখে ঘৃণা আর ক্রোধ দেখেছি। আর আজ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে যখন তাকাচ্ছি, তখন আমি লাখো নিউজিল্যান্ডবাসী ও বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের চোখে ভালোবাসা আর সহানুভূতি দেখতে পাচ্ছি।’
ইমাম জামাল আরও বলেন, ‘যে মন্দ মতাদর্শ বিশ্বকে বিভাজিত করে দিয়েছে, সে মতাদর্শ ব্যবহার করে আমাদের দেশে বিভাজন তৈরি করতে চেয়েছিল এ সন্ত্রাসী। তবে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, নিউজিল্যান্ড অবিচ্ছেদ্য।’
এ হামলার কারণ হিসেবে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে দায়ী করেছেন ইমাম জামাল। এ ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইমাম জামাল বলেন, ‘কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক নেতা, সংবাদমাধ্যম ও অন্যদের ইসলামবিরোধী এবং মুসলিমবিরোধী বক্তব্যের ফলাফল এটি। গত সপ্তাহের ঘটনায় গোটা বিশ্বের কাছে প্রমাণ হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের কোনও রঙ নেই, বর্ণ নেই, ধর্ম নেই।’
হামলাকারীর কবল থেকে বাঁচানোর জন্য যারা তাদের সেদিন নিজেদের ঘরের দরজা খুলে দিয়েছিলেন, গাড়ি নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন সেসব প্রতিবেশীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জামাল। হতাহতদের পরিবারকে নিবিড়ভাবে আগলে রাখায় এবং মুসলিমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাথায় কাপড় দেওয়ায় জাসিন্ডা আরডার্নকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, ‘তার নেতৃত্ব এ বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয়।’
আল নূর মসজিদের ঠিক বিপরীতে হ্যাগলি পার্কে, যেখানে নামাজের আয়োজন করা হয় তার চারপাশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে মুসলিমদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। তার নামাজের সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ হন। এসময় অনেকের চোখে পানি দেখা যায়।
গতকাল আল নূর মসজিদ ছাড়াও দেশের অন্যান্য মসজিদও সব ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। মসজিদগুলোর সামনে ভালোবাসা ও সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে মানববন্ধন করেন নিউজিল্যান্ডবাসী।
হামলার পর থেকেই নিউ জিল্যান্ডবাসীও এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে যাচ্ছেন। ফুল দেওয়ার স্থানগুলো ভরে গেছে। ফুলের সঙ্গে রয়েছে সমবেদনা জানিয়ে লেখা চিরকুটও। এছাড়া হতাহতদের প্রতি সংহতি ও দেশটিতে বসবাসরত মুসলিমদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু করে নিউজিল্যান্ড। মুসলিম রীতিতে সালাম দিয়ে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। মসজিদে হামলায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে পার্লামেন্টের স্পিকারকে সম্বোধন করে জাসিন্ডা বলেন, মিস্টার স্পিকার, আসসালামু আলাইকুম। পরে ইংরেজিতে বলেন, পিস বি আপন উইথ ইউ (আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক)।
১৫ মার্চ ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামের সন্দেহভাজন হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তু হয় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদ। শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক ডিনস এভিনিউয়ের আল নূর মসজিদসহ লিনউডের আরেকটি মসজিদে তার তান্ডবের শিকার হয় অর্ধশত মানুষ। শুধু আল নূর মসজিদে হামলায় প্রাণহানি হয় ৪৩ জনের। ঘটনার দিন আল সেখানে ছিলেন ইমাম জামাল ফাওদা। তবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ভয়াবহ সে হামলার এক সপ্তাহ পর আবারও খুলেছে আল নূর মসজিদ। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স, নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।



 

Show all comments
  • Raju Ahmed Hridoy ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 1
    একটা জাতি,কিভাবে কৃতজ্ঞতা, অপরাধের দায় নিজের উপর নেয় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়িয়ে সাহায্য করে তা নিউজিল্যান্ডকে না দেখলে বুঝা যায়না।নিউজিল্যান্ড তোমরা জাতি হিসেবে খুবই শান্তিপ্রিয় একটা জাতি।
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi Munalisa Laboni ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 1
    জেসিন্ডা আর্ডেন সত্যিকারের এক মহামানববী।শুধু নোবেল শান্তি পুরস্কার নয় আল্লাহ তাকে শান্তির ধর্মে কবুল করে নেন।আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Yousuf ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 1
    খুনি ব্রেন্টন ট্যারান্টেকে উদ্দেশ্য করে চাইনিজ নওমুসলিম বোন @Jinghan.naan এর লিখাঃ তোমার প্রশংসা করি কারণ-তুমি অপরেশন চালানোর জন্য আমাদের দুপুরের নামাজের সময়কে পছন্দ করেছ। তোমার প্রশংসা করি কারণ-তুমি আমাদের ধর্ম সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছ যে,শুক্রবারে জামায়াতে নামাজ আদায়ের জন্য মানুষ মসজিদে যায়। কিন্তু আমি মনেকরি, দুর্ভাগ্যক্রমে,এমন কিছু তোমার জানা বাকি ছিলো, বরং, যা তুমি তা জানতে না। হয়ত তুমি জানতে না যে,তুমি তাদের শহীদ করেছ। তোমার প্রশংসা করি কারণ-তুমি একাই তোমার এই অপরেশনের মধ্যে দিয়ে আমাদের শহীদ ভাই-বোনের মর্যাদা অত্যন্ত প্রিয় স্রষ্টা আল্লাহর চোখে উর্ধ্বে উঠিয়ে দিয়েছ।তোমার ওই অপরেশনে কারণে তারা কিয়ামত বা শেষ দিবসে সবচেয়ে বেশি হেদায়েতপ্রাপ্ত ও ধর্মনিষ্ঠ মুসলিম হিসেবে উঠবে। হয়ত তুমি কি করেছ তা তুমি জানতে না,তুমি এমন সময় আর এমন স্থান বাঁচাই করেছ যে,যখন তাদের ঠোঁট থেকে শেষ শব্দ ছিলো আল্লাহর প্রশংসা ও তার স্মরণ।এটি এমন মহৎ কিছু যে, অনেক মুসলিম শুধুই এরকম স্বপ্নই লালল করে, যেন তাদের জীবনের শেষ বাক্য আল্লাহর স্মরণ ও প্রশংসা দিয়ে শেষ হয়। সম্ভবত তুমি জানতে না,তুমিই তাদের জান্নাতের গ্যারান্টি দিয়ে দিয়েছ। তোমার আরো প্রশংসা করি কারণ- তুমি বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছ, কিভাবে মুসলিমরা সশস্ত্র অবস্থায়ও তোমার মত কাউকে আমাদের দ্বিতীয় ঘর মসজিদে স্বাগতম জানায়। তোমার প্রশংসা করি কারণ- তুমি দেখিয়ে দিয়েছ আমাদের মসজিদে কোন তালা অথবা গেইট নেই।মসজিদ এরকম থাকে কারণ সকল মানুষকে আমরা স্বাগতম জানাই। তোমার প্রশংসা করি কারণ-তোমার হাতে আহত হওয়া ব্যক্তির ছবি বিশ্বকে দেখিয়েছ,যে স্ট্রেচারে তার শাহাদাত আঙ্গুলি উপরে দিকে উঠিয়ে কালিমা ও আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস ঘোষণা করছে। তোমার প্রশংসা করি কারণ- যেভাবে তুমি গীর্জা ও অন্যান্য সম্প্রদায়কে একসাথে আমাদের মুসলিমদের পাশে দাড় করিয়েছ। তোমার প্রশংসা করি কারণ-নিউজল্যান্ডের মানুষদের তাদের ঘর থেকে বের করে এনেছ,আর তারা তাদের নিকটতম মসজিদ পরিদর্শন করছে শান্তি ও ভালোবাসার ফুল ও সুন্দর বার্তা দিয়ে। তুমি অনেক অনেক হৃদয় ভেঙ্গেছ এবং বিশ্বকে কাঁদিয়েছ,আর তুমি ব্যর্থ হয়েছ। কিন্তু তুমি আমাদের পরস্পরকে আরো আরো নিকটে এনেছ এবং আমাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় করেছ এবং বিভেদের দেওয়াল ভেঙ্গে দিয়েছ। আগামী সাপ্তাহে আরো বেশি মানুষ মসজিদ মুখি হবে-যে স্থানকে তুমি খুব বেশি ঘৃণা করতে।তাদের বিশ্বাসের শক্তিকে আরো শক্তিশালী করবে এবং তাদের হারানো ভাই-বোনদের থেকে তারা অনুপ্রাণিত হবে। আগামী সাপ্তাহে বেশি বেশি অমুসলিম মসজিদের গেইটে সতেজ ফুল ও সুন্দর হাতের লিখা নিয়ে হাজির হবে।তারা হয়ত জানতো না তাদের এলাকার কোথায় মসজিদ আছে কিন্তু এখন জানবে কারণ তুমি। তুমি হয়ত তোমার ধ্বংসাত্মক লক্ষ্যটা অর্জন করেছ কিন্তু আমি মনেকরি, তুমি আমাদের সকলের মধ্যে ঘৃণা, ভয় ও হতাশা জাগাতে তুমি ব্যর্থ হয়েছ। যখন আমি তোমার অভিযোগ জানলাম তখন ঘৃণার সাথে বলতে চাইঃ তোমার এসব বিস্তর পরিকল্পনা ও বিপথগামী এবং হীন অপচেষ্টা এগুলো তোমারই অংশ,তুমি এখন পর্যন্ত পুরো বিশ্বের মুসলিম ও অমুসলিমদের মাঝে বিভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছ। এর জন্য,আমি দুঃখিত, এটি বলতে পারছি না। জিংহান নান অনুবাদঃ নাজিম মেহরাজ
    Total Reply(0) Reply
  • রায়হান হাওলাদার ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    নিউজিল্যান্ডবাসী ভিন্নধর্মি রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও নিজ দেশে সন্ত্রাসী হামলায় অর্ধশতাধিক মুসলমানের মৃত্যুতে ইসলাম ধর্মের প্রতি সম্মান জানিয়েছে, মুসলমান হিসাবে এটি আমাদের জন্যও সম্মানের। এর থেকে আমাদেরও শিক্ষা নেওয়া উচিৎ ভিন্ন ধর্মের মানুষদের প্রতিও সম্মান দেখানো উচিৎ। ধর্ম যার যার মানুষ সবাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Hasan Bin Nazrul ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 1
    তারা ফুঁ দিয়ে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায় অথচ আল্লাহ তাঁর নূর বা জ্যোতিকে পরিপূর্ণ করবেন যদিও কাফেরদের কাছে তা পছন্দনীয় নয়।” (৯:৩২)
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Hasan ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 1
    কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম কুশলী। সুরা আল ইমরান আয়াত ৫৪
    Total Reply(0) Reply
  • Jannatur Nur ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 1
    সবাই একদিন বুঝবে যে ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথ দেখিয়ে দাও
    Total Reply(0) Reply
  • স্টার কোচিং পাবনা ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 1
    ইসলাম হচ্ছে শান্তি ও সত্যের ধর্ম।পৃথিবীর একমাত্র জীবন্ত আসমানী কিতাব আলকোরআনে পৃথিবীর শুরু থেকে পরকাল পর্যন্ত বর্ণনা করা হয়েছে।সব ধর্মের মানুষের সত্য অনুসন্ধানের জন্য আল-কোরআন পড়ার অনুরোধ রইল।
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful Apo ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 1
    সুবহানআল্লাহ..... তিনি বরই কৌশলি। অধিকাংশ লোক তার শক্তিকে বুঝতে পারে না। ৫০ জন শহিদ পুরো পৃথিবীকে পালটে দিয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shamim Ahmed ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 1
    ইসলাম শান্তির ধর্ম মুসমানের ধৈর্য সহ্য সুন্দর আচরনে আকৃষ্ট হয়ে একদিন সমস্ত বিশ্ব ইসলামের ছায়াতলে আসবে ইনশআল্লাহ্....
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মনিরুজ্জামান মানিক ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 1
    সত্যি, কর্ম ফলেই একটি দেশ ও দেশের সরকারের প্রতি ভালোবাসা যেমন বাড়ে তেমনি ঘৃণারও জন্ম নেয়।নিউজিল্যান্ড তার উদাহরণ.......
    Total Reply(0) Reply
  • Riadh H Mollik ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 1
    আল্লাহু আকবার মহান আল্লাহ তিনিই উত্তম পরিকল্পনাকারী, আজকের নিউজিল্যান্ড যেনো এক টুকরো সৌদিআরব। আজকের নিউজিল্যান্ড যেনো ইতিহাসের পাতায় হিরা ক্ষচিত একটি ভালোবাসার নজির। কল্পনা করা যায়? একটা বিধর্মী দেশের নারী প্রধানমন্ত্রী সহ, সব নারীরা মুসলমানদের ভালোবাসা জানাতে স্কার্ফ বা হিজাব পড়তে পারে? সালাম জানাই নিউজিল্যান্ডবাসীকে। তোমরা প্রমান করলে তোমরা শান্তির পক্ষে, তোমরাই মানবতার পক্ষে। ইন্সাআল্লাহ এভাবেই শাহদাৎ ও রক্তের বিনিময়ে ই মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় কোনায় পৌছে দিবেন ইসলাম এর বানী
    Total Reply(0) Reply
  • Habibur Rahaman ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 1
    ইসলাম শান্তির ধর্ম মুসমানের ধৈর্য সহ্য সুন্দর আচরনে আকৃষ্ট হয়ে একদিন সমস্ত বিশ্ব ইসলামের ছায়াতলে আসবে ইনশআল্লাহ্।
    Total Reply(0) Reply
  • Asad ২৩ মার্চ, ২০১৯, ৩:৫৩ এএম says : 1
    Islam zinda hota hai har karbala ki baad.amin.
    Total Reply(0) Reply
  • M Rahman ২৩ মার্চ, ২০১৯, ৫:২৫ এএম says : 1
    Please do not take (use) this Terrorist name
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মাদ আব্বাস আলী শরীফ ২৩ মার্চ, ২০১৯, ৬:২৮ এএম says : 1
    নিউজিল্যান্ড থেকে ইসলামের বিজয় নিশান পতপত করে উড্ডীন হওয়া নতুনভাবে শুরু হলো।এ বিজয় নিশান অচিরেই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে ইনশাআল্লা।
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ২৩ মার্চ, ২০১৯, ৮:৪৭ এএম says : 1
    Maashallah,shob ashchojjo lage eai newzilander shorkar o jonogon mosolmander proti je shohanuboti o eakattota ebong amader proti je shonman dekhaiase ta theke amader kisu rajnitibid oti buddijibi jara shob shomoy islam ihar chorcha nia shob shomoy talk show othoba kothao boktitai shomalochona vool bekkha dia thaken tader bolbo eai newzilander shorkar o jonogon theke apnara valovabe shonun dekhun....
    Total Reply(0) Reply
  • শফিউর রহমান ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১০:০০ এএম says : 2
    আমাদের নবীজি বলেছেন তোমার রাষ্টের নেতা যদি ভিধর্মিও হয় আর সে যদি শুসান চালায় তাকে তোমরা মেনে নিবে । কারন তোমার সে কোন ক্ষতি করেনা । অতএব নিউজিলেন্ডের প্রধান মন্ত্রিকে অনেক অনেক সাধুবাদ আমাদের জানানো উচিৎ হবে কারন সে আমাদের ব্যথায় বেথাতুর । ওরা শান্তিপ্রিয় দেশের শান্তিকামি মানুষ । এটা আমাদেরকে অনুপ্রানিত করেছে তার জন্য অনেক ধন্যবাদ । আমরা কবে বড় হবো । আমরাকি তাদের পথ অনুস্বরন করতে পরিনা ? মোহান আল্লাহ আমাদেরকে সসৎসাহস প্রধান করুন সবে বলুন আমিন ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিউজিল্যান্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ